সাংস্কৃতিক লড়াইটা বিশ্বব্যাপী অত্যন্ত জরুরি

www.ajkerpatrika.com সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর ২০২২, ১২:৫৪

দেশজুড়েই সাংস্কৃতিক চর্চার কেন্দ্র গড়ে তোলা দরকার পড়বে। কেন্দ্র গড়ার ব্যাপারে পাঠাগারগুলো কাজে লাগানো যেতে পারে। দেশে অনেক পাঠাগার রয়েছে, সেগুলো পুনরুজ্জীবিত করা সম্ভব, সেই সঙ্গে নতুন নতুন পাঠাগার গড়ে তোলা মোটেই অসম্ভব নয়। পাঠাগার যে কেবল বই পড়ার এবং বইয়ের আদান-প্রদানের কেন্দ্র হবে তা নয়, হবে নানা বিষয়ে আলোচনার প্রাণবন্ত একটি পরিসর। সেখানে বক্তৃতা হবে, চলবে বিতর্ক। আয়োজন থাকবে নাট্যাভিনয়ের। পুরোনো নাটকের পাশাপাশি নতুন নাটকও লেখা হবে। গানের আয়োজন থাকবে; বিশেষ করে সমবেত কণ্ঠে গানের। প্রদর্শনী, প্রতিযোগিতা, খেলাধুলা—কোনো কিছুই বাদ যাবে না। পাশাপাশি গড়ে তোলা হবে দেশব্যাপী একটি কিশোর আন্দোলন। পাঠাগারের আশপাশেই ছেলেমেয়েরা সব ধরনের সাংস্কৃতিক অনুশীলনে অংশ নেবে। এ কাজের মধ্য দিয়ে তরুণেরা সৃষ্টিশীল, সামাজিক ও দেশপ্রেমিক হয়ে উঠবে। তারা শরীরচর্চাও করবে। তাদের অবকাশ ও অবসর হয়ে উঠবে আনন্দমুখর। কেটে যাবে বিষণ্নতা। বিপন্ন মানুষকে সাহায্য করতে তারা অগ্রণী হবে। সামাজিক নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে পারবে। এলাকার পথঘাট, জলাশয়, বিদ্যালয়—এসবের উন্নয়নে তারা হাত লাগাবে।


একাত্তরে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি সাংস্কৃতিক প্রস্তুতিহীন অবস্থায় এবং যুদ্ধের পরে বিজয়কে যে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারিনি, সেটাও মূলত ওই প্রস্তুতির অভাব ছিল বলেই। সংস্কৃতিচর্চার ক্ষেত্রে সৃষ্টিশীলতাকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি দুটি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া আবশ্যক—ইতিহাস ও সাহিত্যের চর্চা। ইতিহাসের জ্ঞান না থাকাটা তো স্মৃতিভ্রংশ হওয়ারই সমান। আমাদের ইতিহাসে একদিকে রয়েছে অন্যায় ও জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের গৌরবজনক ঘটনা, অন্যদিকে আছে অন্যায় ও জুলুমের মর্মন্তুদ কাহিনিও। এরা একে অপরের পরিপূরক। উভয়ের জ্ঞানই অত্যাবশ্যক। আমরা যে কেবল নিজেদের ইতিহাসই পড়ব তা নয়, পড়তে হবে বিশ্বের ইতিহাসও। সভ্যতার উত্থান-পতনের কারণ জানা চাই, জানতে হবে জ্ঞানবিজ্ঞানের ইতিহাস। আর সাহিত্যের চর্চা একই সঙ্গে বৃদ্ধি করবে কল্পনার শক্তি ও চিন্তার দক্ষতা; সমৃদ্ধ করবে চিন্তার ক্ষমতাকেও। সাহিত্যচর্চা অবশ্যই বাড়াবে নিজেকে ব্যক্ত করার সক্ষমতা এবং ঘটাবে রুচির উৎকর্ষ।


বলা বাহুল্য, কোনো পাঠই একরৈখিক হবে না; হবে দ্বান্দ্বিক। থাকবে প্রশ্ন, জেগে উঠবে জিজ্ঞাসা এবং সংস্কৃতির এই অনুশীলন মোটেই আদর্শ-নিরপেক্ষ হবে না। আদর্শ একটাই—প্রগতিশীল সমাজবিপ্লবকে সম্ভব করা। নতুন সমাজ গড়ে তোলা এবং তারই প্রয়োজনে ধর্মনিরপেক্ষতার বোধকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। মনে রাখা চাই, ধর্মনিরপেক্ষতার উপাদান দুটি—একটি দার্শনিক, সেটিকে বলা যায় ইহজাগতিকতা। অপরটি রাজনৈতিক, যার মূল কথাটা হলো রাষ্ট্রের সঙ্গে ধর্মের বিযুক্তি। আওয়াজটা আমাদের সুপরিচিত: ‘ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার’। ধর্ম থাকবে ধর্মের জায়গায়, রাষ্ট্র রাষ্ট্রের।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও