খেলাপি বেড়েছে ৯০০০ কোটি টাকা

প্রথম আলো প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর ২০২২, ১২:৩২

অর্থমন্ত্রী হওয়ার পর ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে আ হ ম মুস্তফা কামাল ঘোষণা দিয়েছিলেন, ‘আর এক টাকাও খেলাপি ঋণ বাড়বে না।’ অর্থমন্ত্রীর কথা ঠিক থাকেনি। তাঁর ঘোষণার ঠিক আগে ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ ছিল ৯৩ হাজার ৯১১ কোটি টাকা। সাড়ে তিন বছরের মাথায় তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার ২৫৭ কোটি টাকা। এ হলো দেশের সার্বিক খেলাপি ঋণের চিত্র।


সার্বিক চিত্র থেকে বেরিয়ে এসে যদি শুধু রাষ্ট্রমালিকানাধীন সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, বিডিবিএল ও বেসিক—এই ছয় ব্যাংকের কথা বিবেচনা করা হয়, তাহলে কী চিত্র দেখা যায়? অর্থমন্ত্রী যখন বলেছিলেন আর এক টাকাও খেলাপি ঋণ বাড়বে না, তখন ছয় ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ছিল ৪৬ হাজার ৫৬৪ কোটি টাকা। ২০১৯ সালেই ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ৯ শতাংশ সরল সুদে ১০ বছর মেয়াদে ঋণ পরিশোধের সুযোগ করে দিলে পরের বছর ২০২০ সালে ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ কমে আসে ৪৩ হাজার ২৫৫ কোটি টাকায়। তবে পরের বছরেই (২০২১) তা আবার বেড়ে হয় ৫০ হাজার ৩১৩ কোটি টাকা। চলতি বছরের জুনে তা আরও বেড়ে ৫৫ হাজার ৪৩০ কোটি টাকায় উন্নীত হয়। অর্থাৎ সাড়ে তিন বছরে ছয় ব্যাংকে খেলাপি ঋণ বাড়ে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা।


রাষ্ট্রমালিকানাধীন ছয় ব্যাংকের খেলাপি ঋণ, খেলাপি ঋণ থেকে নগদ আদায়, অবলোপনকৃত ঋণ, অবলোপন থেকে আদায়, শীর্ষ ২০ খেলাপি ঋণগ্রহীতা থেকে আদায়, ঋণ-আমানত অনুপাত এবং মামলায় আটকে থাকা অর্থের পরিমাণ নিয়ে ৩ অক্টোবর বৈঠক করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। এতে সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকেরাই (এমডি) উপস্থিত ছিলেন। সার্বিক কৃতিত্বের (পারফরম্যান্স) মূল্যায়ন করে বৈঠকে ব্যাংকগুলোর ওপর অসন্তোষ প্রকাশ করে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও