আগের রাতেই হামলা ভাঙচুর গুলি

যুগান্তর প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর ২০২২, ০৯:০৩

দেশের ৫৭টি জেলা পরিষদ নির্বাচনে আজ ভোট গ্রহণ হবে। এর আগেই শনিবার রাতে কয়েকটি স্থানে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা, ভাঙচুর, গুলি ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া ভোটের মাঠে সংসদ সদস্যদের সরাসরি প্রভাব বিস্তার, প্রতিপক্ষকে হুমকিধমকি ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ছিল আগে থেকেই। তাই আজকের ভোটগ্রহণ ঘিরে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে। নড়াইলে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তির নেতৃত্বে শনিবার রাতে পৌরভবনে হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় হামলাকারীরা গুলিবর্ষণ করে এবং আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনি কাজে ব্যবহৃত দুটি প্রাইভেট কার ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় এমপি মুক্তিকে প্রধান আসামি করে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পঞ্চগড়ে শনিবার রাতে দুই স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর বাসভবন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হেলমেট পরা একদল দুর্বৃত্ত হামলা চালিয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থীর লোকজন এ হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কুড়িগ্রামে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য সুফিয়া খাতুনের প্রচারণায় হামলার ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। কক্সবাজারের রামুতে শতাধিক ভোটারকে তিনটি বাস ও পাঁচটি মাইক্রোতে ‘আনন্দভ্রমণে’ পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে স্থানীয় সংসদ-সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে।


এদিকে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ পরিবেশে জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সকাল ৯টা থেকে টানা ২টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোট মেশিন-ইভিএমে ভোট নেওয়া হবে। নির্বাচন কমিশন থেকে সরাসরি মনিটরিংয়ে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ৯২ জন, সদস্য পদে এক হাজার ৪৮৫ জন ও সংরক্ষিত পদে ৬০৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এতে মোট ভোটার ৬০ হাজার ৮৬৬ জন। ইসির যুগ্ম সচিব (জনসংযোগ) এসএম আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সিসিটিভি ও ইভিএম মেশিন যথাযথভাবে সচল রাখার স্বার্থে এবং ভোটাররা যাতে সুষ্ঠুভাবে তাদের ভোট প্রয়োগ করতে পারেন সেজন্য ভোটকেন্দ্র সংশ্লিষ্ট উপজেলা সদরে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।


ইসি জানিয়েছে, জেলা পরিষদ নির্বাচনে ২৬ জন চেয়ারম্যান, ১৮ জন মহিলা সদস্য এবং ৬৫ জন সাধারণ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নোয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচন আদালতের নির্দেশনায় স্থগিত করা হয়েছে। ভোলা ও ফেনী জেলার সব পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। ফলে এ দুই জেলায় কোনো নির্বাচনের প্রয়োজন পড়বে না। এ নির্বাচনে ৫৭টি জেলায় সাধারণ ওয়ার্ড সংখ্যা ৪৪৮টি ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড ১৬৬টি। এতে ভোট কেন্দ্র ৪৬২টি ও ভোট কক্ষ ৯২৫টি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও