কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

আমার পরিচিত পৃথিবী এখন মৃত: কবীর সুমন

প্রথম আলো প্রকাশিত: ১৬ অক্টোবর ২০২২, ২৩:০১

তিয়াত্তর বছর বয়সের ‘গানওলা’ গান গাইলেন, অজস্র গান। কিন্তু এক মুহূর্তের জন্যও গিটার বাজালেন না। ১৩ বছর আগে যখন এসেছিলেন, তাঁর হাতে ছিল গিটার। এবার সেই গানওলার সামনে কি-বোর্ড, তিনি কি-বোর্ড বাজালেন আর তাঁর গানের সঙ্গে গিটার সংগত করলেন অন্য আরেকজন। গানওলা বললেন, ‘নিউরোলজিক্যাল সমস্যার কারণে এখন আর গিটার বাজাতে পারি না। চেয়ার থেকে উঠতেও সমস্যা হয়। তবে গুরুদের কৃপায় এখনো কণ্ঠটা অকেজো হয়ে যায়নি।’ গানের ফাঁকে ফাঁকে বিস্তর কথা হলো, গানের লেজ ধরে এল নানান গল্পও। সেসব গল্পে গানওলার গান ও জীবন মাখামাখি। ৪৩ বছর বয়সে প্রথম অ্যালবাম। মানুষের মুখে মুখে ফিরল ‘তোমাকে চাই’, ‘তোমাকে অভিবাদন, প্রিয়তমা’সহ অন্য রকম কথা ও সুরের কত কত গান!


বাংলাদেশের কবি শহীদ কাদরীর বিখ্যাত কবিতা ‘তোমাকে অভিবাদন, প্রিয়তমা’ কীভাবে গান হয়ে উঠল? ‘ভয় নেই এমন দিন এনে দেব...’, সেই চেনা সুরে সবাইকে ভাসিয়ে দিয়ে গানঅলা সেই গল্পই জুড়লেন, ‘শহীদ আমার বন্ধু ছিল। ও জানত না তার গানে আমি সুর দিয়েছি। গানটাতে সুর দিয়ে একদিন ওকে শোনালাম। অবাক হয়ে চোখ কুঁচকে ও বলল, “এই কবিতাও গান করা যায় নাকি!”...আপনারা শহীদের কবিতা পড়বেন। ওর কবিতা পড়লে কবিতা পড়ার বদ অভ্যাস তৈরি হয়।’


এমন সব চমকপ্রদ গল্প করতে করতে ১৫ অক্টোবর শনিবার বিকেলে ঢাকার ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনের ছোট্ট মিলনায়তনে কবীর সুমনের কণ্ঠ যখন গমগম করছে তখনো কি তিনি জানতেন, এর কিছুক্ষণ পরই এখানে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছে এক মহা চমক! শুধু তাঁর জন্যই-বা কেন হবে, বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো চমকটি ছিল মিলনায়তনভর্তি দর্শকদের জন্যও। প্রায় ৪০ বছর পর এখানে এসে তিনি পেয়ে গেলেন তাঁর যুবক বয়সের এক বন্ধুকে।


প্রথম দিনের অনুষ্ঠানে কবীর সুমন ততক্ষণে গেয়ে ফেলেছেন, ‘হঠাৎ রাস্তায় অফিস অঞ্চলে/ হারিয়ে যাওয়া মুখ চমকে দিয়ে বলে/ বন্ধু কী খবর বল/ কত দিন দেখা হয়নি।’ এর খানিক বাদেই কথায় কথায় বললেন, ‘১৯৭৬ সালে আমি জার্মানিতে পালিয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে জার্মান রেডিও ডয়চে ভেলেতে কাজ নিলাম। ওখানে সে সময় বাংলাদেশের দুই ফারুক কাজ করতেন। একজন আবদুল্লাহ আল ফারুক, যাঁকে আমরা বলতাম এমনি ফারুক। আরেকজন হলেন শাহজাহান ফারুক। এই শাহজাহান ফারুক আমাকে সৈয়দ শামসুল হকের কবিতার বই “বৈশাখে রচিত পঙ্‌ক্তিমালা” পড়তে দিয়েছিলেন। জানি না সেই শাহজাহান ফারুক এখন কোথায় আছেন। এখানে আছেন কি না।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও