অচল ডেমু সচল স্বপ্ন : মুক্তির অঙ্গীকার

যুগান্তর সাইফুল আলম প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর ২০২২, ১১:২২

অচল ডেমু সচল হয়েছে আমাদের দেশীয় প্রকৌশলী এবং কর্মীদের অদম্য মেধা আর কর্মশক্তিতে। প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান খান এবং তার টিম এই অসাধারণ কাজটি করে কেবল একটি চ্যালেঞ্জেই জয়ী হয়নি-সাশ্রয় করেছে দেশের প্রায় ৬শ কোটি টাকা। অচল ডেমুগুলো সচল করার জন্য যে অর্থ চীনা প্রকৌশলীরা চাইছিল।


বছর কয়েক আগ ডেমু ট্রেনগুলো চীন থেকে কেনা হয়েছিল সাড়ে ৬শ’ কোটি টাকায়। সেগুলোর মেরামতের খরচও প্রায় সমপরিমাণে চাওয়া হচ্ছিল। বিপুল অঙ্কের সেই টাকা জোগানোর চেয়ে ডেমু ট্রেনগুলো পরিত্যক্ত ঘোষণা করা ছিল সাশ্রয়ী। এমন ঘটনা এর আগেও এ দেশে ঘটেছে। অচল ফেরি সচল করার জন্য যে দেশ থেকে ফেরি কেনা হয়েছিল তারা যে মেরামত খরচ চেয়েছিল তার অর্ধেক টাকায় এ দেশের ফেরি প্রকৌশলী ও কারিগররা তা মেরামত করেছিল। অচল ডেমু ট্রেনগুলো সচল করার ঘটনা তার চেয়েও বেশি চ্যালেঞ্জে জয়ী এই কারণে যে, খুবই নামমাত্র টাকায় (৫-১০০ টাকায় সরঞ্জামে) ডেমু ট্রেনগুলোকে আবার কার্যোপযোগী করা সম্ভব হয়েছে।


প্রকৌশলী আসাদুজ্জামানের টিমের একজন সদস্য জুলহাস মিয়ার ভাষায়-‘আমরা নিজ হাতে ট্রেনটি সচল করেছি। এমন কিছু সরঞ্জাম লেগেছে, বাজারে যার মূল্যই নেই। আমরা ইতিহাসের সাক্ষী হলাম। আমরাই একদিন ট্রেনের ইঞ্জিন তৈরি করব। আর কোচ-বগি তো বানাচ্ছিই।’ খুবই অসাধারণ আত্মপ্রত্যয় ব্যক্ত হয়েছে এই নিবেদিতপ্রাণ টিম সদস্যটির মুখে। এ রকম আত্মপ্রত্যয়ই আমাদের আশাবাদী করে আমাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে।


পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে আছে বাঙালি মেধাবী ডাক্তার, প্রকৌশলী, বিজ্ঞানী এবং শ্রমজীবীরা। শারীরিক পরিশ্রম থেকে মেধার প্রতিযোগিতা কোথাও পিছিয়ে নেই আমরা। অচল ডেমু সচল করা তার একটি উদাহরণ। এ বিষয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই যে, এ দেশে অদূর ভবিষ্যতেই সত্যে পরিণত হবে জুলহাস মিয়ার প্রত্যয়-এ দেশেই তৈরি হবে রেলের ইঞ্জিন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও