রাজস্ব হ্রাস ৫৫১৯ কোটি টাকা অর্থবছরের প্রথম তিন মাস
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের কারণে বড় ধরনের আঘাত আসছে আমদানি ও রপ্তানি খাতে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিরাজ করছে ঊর্ধ্বমুখী মূল্যস্ফীতি। পরিস্থিতি সামলে নিতে ভোজ্যতেলসহ কয়েকটি পণ্যের আমদানি শুল্ক হ্রাস করা হয়।
এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর। বৈশ্বিক আর্থিক সংকটে পর্যটকদের আনাগোনাও কমছে। মূল্যস্ফীতির কারণে কমেছে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা। এ ধরনের নানাবিধ সংকটের মুখে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রাজস্ব আয় কমেছে ৫৫১৯ কোটি টাকা। তবে এ সময় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২ দশমিক ৬৩ শতাংশ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে পাওয়া গেছে এ তথ্য।
অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭১ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা ।এর বিপরীতে আদায় হয়েছে ৬৫ হাজার ৭৩৭ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের (২০২১-২২) একই সময়ে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে রাজস্ব আসে ৫৮ হাজার ৩৬৮ কোটি টাকা।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় সরকার অর্থনীতি সুরক্ষায় বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। বিশেষ করে অর্থ ব্যয়ে কৃচ্ছ সাধন, সরকারি চাকরিজীবীদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ, উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে তিন ধরনের ক্যাটাগরি নির্ধারণ, আমদানি পর্যায়ে বেশ কিছু পণ্যের শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়। ফলে আগামীতে দেশের অর্থনীতির গতি সংকুচিত হবে, প্রবৃদ্ধিও কমবে। আর অর্থনীতির সূচক রাজস্ব, বাজেট বাস্তবায়ন, উন্নয়ন প্রকল্পের গতিসহ সবকিছুতে কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এর ধারাবাহিকতায় রাজস্ব আয়ে প্রথম তিন মাসে ধাক্কায় পড়েছে।