ব্লক ইট: তিন বছরে অগ্রগতি ‘শূন্য’
কথা ছিল বায়ু দূষণ কমাতে অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদের পাশাপাশি ২০২৪-২০২৫ সালের মধ্যে সরকারি নির্মাণ কাজে শতভাগ ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব ব্লক ইট ব্যবহার করবে বাংলাদেশ। কিন্তু পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতাশা নিয়ে দেখতে পাচ্ছেন, গত তিন বছরে বলার মত কোনো অগ্রগতিই নেই!
সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, পরিকল্পনা করা যত সহজ, বাস্তবায়ন ততটা নয়। আর সংসদীয় কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলছেন, ব্লক ইট নিয়ে ওই পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে চাইলে কর্মপরিকল্পনা সাজাতে হবে নতুন করে।
কিন্তু তিন বছরে অগ্রগতি হল না কেন? বড় বাধা ছিল করোনাভাইরাস মহামারী। তাছাড়া নানা ধাপে সমন্বয়ের অভাব ছিল। যত দরকার তত ব্লক ফ্যাক্টরিই তৈরি হয়নি। অভাব রয়েছে সচেতনতা আর কারগরি জ্ঞানেরও।
দেশে প্রায় ১০ হাজার ইটভাটা প্রতিবছর তিন হাজার কোটি ইট সরবরাহ করছে। সে জায়গায় ব্লক ফ্যাক্টরি আছে আড়াইশর মত। আবার ব্লক ব্যবহার যে আর্থিক দিক দিয়েও লাভজনক, সেটা প্রচারেই আসছে না।
বুয়েটের অধ্যাপক মেহেদী আনসারি বলছেন, ব্লক ইটের ববহার বাড়াতে চাইলে সচেতনতা যেমন বাড়াতে হবে, ইটভাড়া মালিকদের সহযোগিতা ও সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে সব পক্ষের সমন্বয়ও জরুরি। আগে থেকে সব ঠিক করে না এগোলে কোনো কর্মপরিকল্পনাই অশানুরূপ ফল দেবে না।
বিজ্ঞাপন
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- পরিবেশ দূষণ
- ব্লক ইট
- দূষণ রোধ