ডাকের সেবা নেওয়া কমছে
রাজধানীর জিগাতলা ডাকঘর। গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে বেলা ১১টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেন এ প্রতিবেদক। ওই সময়ে ২৫ জনের মতো সেবাগ্রহীতা ডাকঘরটিতে আসেন। তবে তাঁদের বেশির ভাগই এসেছিলেন সঞ্চয় ব্যাংকসংক্রান্ত কাজে। ডাকঘরটির কর্মকর্তা–কর্মচারীরাও জানালেন, সঞ্চয় ব্যাংকের বাইরে অন্যান্য সেবা নেওয়া অনেক কমে গেছে। চিঠি, ইএমএস (এক্সপ্রেস মেইল সার্ভিস), অভ্যন্তরীণ পার্সেল সেবা, মানি অর্ডার ও সঞ্চয়পত্রের লেনদেনের মতো সেবা দিন দিন কমছে।
একদিকে ডাক বিভাগের বিভিন্ন সেবা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে, অন্যদিকে ডাক সেবার মানোন্নয়নে প্রতিবেশী দেশগুলোর চেয়ে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। এ পটভূমিতে আজ রোববার পালিত হচ্ছে বিশ্ব ডাক দিবস।
জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থা ইউনিভার্সাল পোস্টাল ইউনিয়ন (ইউপিইউ) প্রতিবছরের ৯ অক্টোবর ডাক দিবস হিসেবে পালন করে। দেশের ডাক বিভাগ পত্রলিখন প্রতিযোগিতা ও সেরা কর্মী পুরস্কারের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করবে।
ইউপিইউ গতকাল ৮ অক্টোবর সমন্বিত ডাক উন্নয়ন সূচক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বিশ্বের ১৭২টি দেশের ডাক উন্নয়ন পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে আস্থা, পৌঁছানো, প্রাসঙ্গিকতা ও সহনশীলতা—এ চার সূচকের ভিত্তি করে একেকটি দেশের স্কোর ও ধাপ নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সমন্বিত ডাক উন্নয়ন সূচকে ১৩ দশমিক ৯ পেয়েছে এবং দ্বিতীয় ধাপে অবস্থান করছে। আস্থায় ১৬ দশমিক ৩, পৌঁছানোয় ১৫ দশমিক ১, প্রাসঙ্গিকতায় ১ দশমিক ৭ ও সহনশীলতায় ২০ দশমিক ৭ পেয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আছে প্রতিবেশী নেপাল (১৪ দশমিক ৮), মিয়ানমার (১৫ দশমিক ১), পাকিস্তান (৪৬ দশমিক ২), ভারত (৫৭ দশমিক ৩) ও শ্রীলঙ্কা (৩৩ দশমিক ৬)।
বিজ্ঞাপন
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- বিশ্ব ডাক দিবস