কান্দাহারের এক সুলতানের গল্প
আফগানিস্তানের কান্দাহার শহরের বাসিন্দা হাজি মুহাম্মদ সুলতান কৃত্রিম দাঁত তৈরি করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। এটি তার পারিবারিক পেশা। ছোটবেলায় বাবার পাশে বসে দাঁত তৈরির কৌশল শেখেন তিনি। পারিবারিক ঐতিহ্য নিয়ে গর্ব রয়েছে সুলতানের। তার তৈরি দাঁত ব্যবহার করে উপকৃত হন যুদ্ধে আহত আফগানরা। লিখেছেন তৃষা বড়ুয়া
পারিবারিক পেশা
আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর কান্দাহার। সাড়ে ছয় লাখের বেশি মানুষের বাস এখানে। শহরের কেন্দ্রে রয়েছে ব্যস্ত এক বাজার। এই বাজারে ছোট এক দোকানে বসেন ৬৫ বছর বয়সী হাজি মুহাম্মদ সুলতান। দোকানটিতে হাতে তৈরি কৃত্রিম দাঁত বিক্রি করা হয়। শুধু বিক্রি নয়, সুলতান নিজেই কৃত্রিম দাঁত তৈরি করেন। এটি তার পারিবারিক পেশা। ৮০ বছর আগে সুলতানের দাদা হাজি গুল মুহাম্মদ কৃত্রিম দাঁতের ব্যবসা শুরু করেছিলেন। ছোটবেলায় বাবা হাজি নাজার মুহাম্মদের কাছ থেকে কৃত্রিম দাঁত বানানো শেখেন সুলতান। বাপ-দাদার পেশাকে একপর্যায়ে নিজের পেশা হিসেবে বেছে নেন তিনি। ২০০৮ সালে বাবার মৃত্যুর পর ব্যবসার দায়িত্ব পুরোপুরি গ্রহণ করেন সুলতান। সকালে দোকান খুলে রাত পর্যন্ত সেখানে ব্যস্ত সময় পার করেন তিনি। সুলতানের দাবি, আফগানিস্তানে তারাই প্রথম হাতে বানানো কৃত্রিম দাঁতের দোকান দেন। সুলতানের দাবির সত্যতা যাচাই করা কঠিন তবে কান্দাহারের বাসিন্দারা তার দাবির সঙ্গে একমত।
- ট্যাগ:
- জটিল
- আফগানিস্তান
- আলোকচিত্রী