স্কুলেই ‘কোচিং বাণিজ্য’, বাড়তি চাপে শিক্ষার্থী-অভিভাবক
প্রাইভেট পড়ার বাড়তি চাপের মধ্যে নতুন এক প্রবণতা দেখা গেছে ঢাকার অনেক স্কুলে; ক্লাসের আগে বা পরে সেই স্কুলেই আবার পড়তে আসতে হচ্ছে কোচিং করতে।
এর মধ্যে সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের মত স্কুল যেমন রয়েছে, তেমনি ঢাকার বিভিন্ন এলাকার স্থানীয় অনেক শিক্ষালয় রয়েছে যেখানে স্কুল সময়ের আগে ও পরে কোচিংয়ের জন্য একই শিক্ষকের কাছে আবার পড়তে আসতে হচ্ছে।
করোনাভাইরাস মহামারীতে দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর শিক্ষার্থীদের পিছিয়ে পড়ার সুযোগে এ প্রবণতা ইদানীং বেড়েছে।
ঢাকার নামী স্কুলগুলোর শিক্ষকদের কাছে শিক্ষার্থীদের পড়তে ‘বাধ্য হওয়ার’ ধারা চলে আসার মধ্যে নিজের স্কুলেই আবার কোচিংয়ের বিষয়টি আলোচনায় এসেছে।
অনেক স্কুলই পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্যই কোচিংয়ের ব্যবস্থা করছে বলে দাবি করেছে। আবার নিজেদের শিক্ষক বা অন্য কারও কাছে যাতে প্রাইভেট বা কোচিং করতে না হয় সেজন্য স্কুলেই কোচিংয়ের ব্যবস্থা করার কথা বলেছেন।
নামী স্কুলগুলো এমন প্রবণতায় নাম না লেখালেও এলাকায় স্থানীয়ভাবে পরিচিতি পাওয়া অনেক স্কুলেই নিজেদের শিক্ষার্থীদের জন্য কোচিংয়ের ব্যবস্থা করেছে। তাতে ওই স্কুলের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী পড়তে আসছে।
যারা পড়তে আসেন তারা পরীক্ষাতেও ভালো নম্বর পাচ্ছেন বলে অভিভাবকরাও বাড়তি খরচের বোঝা মেনে নিচ্ছেন।
বিজ্ঞাপন