কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


মাসে ৪৩ শিশুকে হত্যা, নির্যাতনের শিকার ৯৬

তিন বছরের এই ফুটফুটে শিশু নামিরা ফারিজ। মা আর সৎ বাবার সঙ্গে রাজধানীর দক্ষিণখানে বেড়ে উঠছিল শিশুটি। গত ১১ মে নামিরাকে বাসায় রেখে পরীক্ষা দিতে যান মা তাসলিম জাহান লিমা। বিকেলে বাসায় ফিরে নামিরাকে অসুস্থ দেখতে পান জাহান। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে, খাওয়ার সময় কান্না করায় নামিরার সৎ বাবা আজহারুল ইসলাম তাকে গুরুতর আঘাত করেন। সেই আঘাতের কারণেই নামিরার প্রাণ গেছে।


অপরাধ কী, তা বুঝে ওঠার আগেই প্রতিবছর শত শত শিশু এভাবে নির্যাতন ও হত্যার শিকার হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসাব বলছে, চলতি বছরের প্রথম আট মাসে হত্যার শিকার হয়েছে ৩৪৭ শিশু। প্রতি মাসে গড়ে ৪৩টি শিশু হত্যার শিকার হচ্ছে। এই হত্যাকাণ্ডগুলোর বিপরীতে মামলা হয়েছে ১৫২টি। একই সময়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৭৭০টি শিশু। নির্যাতনের এসব ঘটনায় মামলা হয়েছে ৩৯৮টি। শিশু ও মানবাধিকারকর্মী এবং আইনজীবীরা বলছেন, সামাজিকভাবে শিশুকে কম গুরুত্বপূর্ণ ভাবার কারণেই শিশুহত্যা ও নির্যাতনের ঘটনায় মামলা কম হয়।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মিতি সানজানা বলেন, ‘আমাদের দেশে সামাজিকভাবেই শিশুদের কম গুরুত্ব দেওয়া হয়। এ জন্য তাদের ওপর নির্যাতন বেশি হয়। ঠিক একই কারণে মামলাও কম হয়। তা ছাড়া, মামলায় দীর্ঘসূত্রতাসহ নানা জটিলতার কারণে মানুষ মামলাও করতে চায় না।’

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছর যে ৩৪৭ শিশুকে হত্যা করা হয়েছে, তাদের ৮০ জনের বয়সই ছয় বছরের নিচে।

আর ৬৪ জনের বয়স ৭ থেকে ১২ বছরের মধ্যে। সংস্থাটি বলছে, গত বছর হত্যার শিকার হয়েছিল ৫৯৬টি শিশু। এর মধ্যে ৬ বছরের কম বয়সী ১৪০ জন, ৭ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশু ১৩৪ জন, ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী ২৬৩ জন।

এমন প্রেক্ষাপটে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও আজ (৩ অক্টোবর) পালিত হচ্ছে বিশ্ব শিশু দিবস। আর ৪ থেকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত পালিত হবে শিশু অধিকার সপ্তাহ। এ বছর শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহের প্রতিপাদ্য ‘গড়বে শিশু সোনার দেশ, ছড়িয়ে দিয়ে আলোর রেশ’।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন