গঠনমূলক পরিবর্তনে সরব সঙ্গী
আমি তখন জাপানে বাণিজ্যদূতের দায়িত্বে। ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ সরকার চ্যানেল আইসহ তিনটি স্যাটেলাইট চ্যানেলের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দেয়। সে বছরই ছেলেমেয়ে, পুত্রবধূ, নাতি-পুতি সবাইকে নিয়ে মমতাময়ী মা সৃজনশীল লেখিকা রাবেয়া খাতুন (১৯৩৫-২০২১) জাপান বেড়াতে আসেন। ওই সময় চ্যানেল আই ছিল শুধু ইমপ্রেস পরিবারের ধারণামাত্র। তো, তখন টিভি স্টেশনের যন্ত্রপাতি সংগ্রহ, অনুষ্ঠানাদি বিনিময়ের সম্ভাবনা, শর্তসাবুদ ইত্যাদিসহ খুঁটি-নাটি অনেক বিষয় নিয়ে মতবিনিময় হয়। সেই থেকে তো বটেই, চ্যানেল আইয়ের সঙ্গে বেশিমাত্রায় নিয়মিত হয়ে পড়ি এনবিআরের চেয়ারম্যান থাকার সময় থেকে দেশের উন্নয়ন, ব্যবসা বিনিয়োগ ও রাজস্ব অর্থনীতির বিষয়ে চ্যানেল আই পর্যালোচনা পর্ব শুরু করলে।
১৯৯৯ সালের ১ অক্টোবর চ্যানেল আইয়ের জন্মদিন। এবারে ২৪-এ তার পা পড়বে। বাংলাদেশের বৃহত্তম প্রাইভেট স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল চ্যানেল আইকে অভিনন্দন। চ্যানেলটির নামে দুটি অর্থ হয়। আই মানে আমি, আবার আই মানে চোখ। আমার ও আমাদের হৃদয়ে বরাবরই বাংলাদেশ। চোখ দিয়ে দেখি যে বাংলাদেশকে। চিন্তা-চেতনায়, মননে ভাব-ভাবনা প্রকাশে চ্যানেল আই এই দর্শনকে হৃদয়ে ধারণ করে তার ক্যামেরার চোখে, প্রক্ষেপণে, বাক-প্রতিমায় তা প্রতিবিম্বিত প্রতিফলিত ও প্রকাশ করে চলেছে। তিনটি শব্দে চ্যানেল আইয়ের আদর্শ চিত্রায়িত করেছে : সাহসী, সন্ধানী ও সমকালীন। শতভাগ পেশাদারিত্ব, নতুনত্ব, সৃজনশীলতা ও তারুণ্যের জয়গান গেয়েই চ্যানেল আইয়ের অভিযাত্রা। চ্যানেল আই অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সাংস্কৃতিক বিকাশ, খাদ্য নিরাপত্তায় শতভাগ স্বনির্ভরতা অর্জন তথা বাংলাদেশের গঠনমূলক পরিবর্তনের সরব সঙ্গী। তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ ও আকাশ সংস্কৃতির নতুন নতুন অগ্রযাত্রার ভেতর চ্যানেল আইয়ের পথচলা নতুন সব উদ্ভাবনের ভেতর দিয়ে। দেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাংস্কৃতিক সব শাখাকে একটি টেলিভিশন চ্যানেলের মাধ্যমে সব শ্রেণির বাংলা ভাষাভাষী মানুষের কাছে আরও বেশি জোরালোভাবে তুলে ধরতে পারার গৌরব করতে পারে চ্যানেল আই।