নৈতিকতা ও নেতৃত্ব
যে সৎ গুণ মানুষকে অন্যায় থেকে বিরত রাখে এবং ন্যায় কাজে নিয়োজিত হতে উদ্বুদ্ধ করে, তাকে নৈতিকতা বলে। নৈতিকতার উদ্ভব হয় মানব মনে। তাই নৈতিকতা মানুষের অভ্যন্তরীণ আচরণ তথা মনোজগত নিয়ন্ত্রণ করে।
মানুষের আত্মিক শক্তির সবচেয়ে বড় উৎস নৈতিকতা। যে মানুষ নৈতিক শক্তিতে বলীয়ান, সে চারিত্রিক ও মানসিক দিক থেকেও সক্ষম। অর্থ-সম্পদ, বিত্ত-প্রতিপত্তি সাময়িক বিষয়, নৈতিকতা হলো অবিনশ্বর, যদি কেউ সেটা ধরে রাখতে পারে।
বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বড় পরিতাপ বিষয় হলো, আমাদের শিক্ষার্থীদের নৈতিক শক্তি ম্রিয়মাণ। তারা আজ অর্থ-সম্পদ, প্রভাব-প্রতিপত্তি অর্জনে বিভোর। অথচ, শিক্ষা জীবনে শিক্ষার্থীর একমাত্র কাজ তারা জ্ঞান অর্জন করা, নিত্যনতুন উদ্ভাবনে নেতৃত্ব দেওয়া।
তারা সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনে নেতৃত্ব দেবে। তারা একেকজন হয়ে ওঠবে 'সোশ্যাল চেইঞ্জ-মেকার' তথা সমাজ পরিবর্তনের অনুঘটক। মানবিক কাজে তারা হবে অগ্রগামী। মানুষ তাদের অর্জন স্বাগত জানাতে ও বরণ করতে রাস্তার পাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকবে। তাদের গর্বে নিজেদের গর্বিত মনে করবে। আত্মতৃপ্তি অনুভব করবে।