চিত্ত যেথা ভয়শূন্য উচ্চ যেথা শির

www.ajkerpatrika.com তোফায়েল আহমেদ প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২২:৩৮

বাংলার গণমানুষের নন্দিত নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীসহ সারা দেশের মানুষ দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া ও আশীর্বাদ করছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগকে দীর্ঘ চার দশক নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়ে জেল-জুলুম ও মৃত্যুভয় উপেক্ষা করে জনগণের রায় নিয়ে চারবার সরকারে অধিষ্ঠিত হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনায় যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখেছেন তিনি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর কতিপয় বিশ্বাসঘাতকের হাতে সপরিবারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নির্মমভাবে নিহত হন। ওই সময় তাঁর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা প্রবাসে থাকায় ঘাতকদের হাত থেকে প্রাণে বেঁচে যান। ১৯৮১ সালের ১৭ মে নির্বাসন শেষে স্বজন হারানোর বেদনা নিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রিয় মাতৃভূমিতে প্রত্যাবর্তন করেন। যেদিন প্রিয় নেত্রী স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসেন, সেদিন শুধু প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছিল না, ছিল সর্বব্যাপী সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় দুর্যোগ। স্বৈরশাসনের অন্ধকারে নিমজ্জিত স্বদেশে তিনি হয়ে ওঠেন আলোকবর্তিকা, অন্ধকারের অমানিশা দূর করে আলোর পথযাত্রী।


১৯৭৫ সালের পর আওয়ামী লীগ যখন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছিল, তখন তিনি দলের হাল ধরেন। ১৯৮১ সালের ১৩ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় কাউন্সিলে আমরা জীবনপণ চেষ্টা করে সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে আওয়ামী লীগের ঐক্য ধরে রেখে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার ওপর দলের নেতৃত্বভার অর্পণ করে তাঁর হাতেই তুলে দিয়েছিলাম দলের রক্তে ভেজা সংগ্রামী পতাকা। কাউন্সিলে অনেক আলাপ-আলোচনার পর জাতীয় ও দলীয় ঐক্যের প্রতীক হিসেবে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাঁকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। মাত্র ৩৪ বছর বয়সে দলীয় ও জাতীয় ঐক্যের বৃহত্তর ও মহত্তর প্রয়োজনে তাঁর আগমন ও নেতৃত্ব গ্রহণ।


নেতৃত্ব গ্রহণের পর তাঁকে বারবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। মৃত্যুঝুঁকি নিয়েই তিনি রাজনীতি করছেন। বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতেই দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রস্তাবে শহীদের রক্তে ভেজা দলীয় ও জাতীয় পতাকা স্বহস্তে তুলে নিয়ে প্রমাণ করেছেন, সেদিনের কাউন্সিল অধিবেশনে গৃহীত আমাদের সিদ্ধান্তটি সঠিক ছিল। এরপর শতসহস্র আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ আজ রাষ্ট্র পরিচালনায় নিয়োজিত। স্বৈরশাসক জেনারেল জিয়ার ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও সফলভাবে কাউন্সিল অধিবেশন করার মাধ্যমে কায়েমি স্বার্থবাদীদের চক্রান্ত আমরা ব্যর্থ করেছিলাম। কাউন্সিলের সার্বিক সাফল্য কামনা করে শেখ হাসিনা এক বার্তায় বলেছিলেন, ‘আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে এগিয়ে যান।’ বার্তাটি সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক অধিবেশনে পাঠ করে শুনিয়েছিলেন। দলের শীর্ষ পদ গ্রহণে তাঁর সম্মতিসূচক মনোভাব সম্পর্কে কাউন্সিলরদের উদ্দেশে বলেছিলাম, ‘আমরা সবাই একটি সুসংবাদের অপেক্ষায় আছি।’ শেখ হাসিনা তাঁর বার্তায় সর্বপ্রকার দ্বন্দ্ব-বিভেদ ভুলে ‘আত্মসমালোচনা ও আত্মশুদ্ধির’ মাধ্যমে কাউন্সিলর ও নেতাদের বঙ্গবন্ধুর কর্মসূচি সোনার বাংলা বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছিলেন। ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরার আগে স্বৈরশাসক জেনারেল জিয়ার নির্দেশে ‘শেখ হাসিনা আগমন প্রতিরোধ কমিটি’ গঠিত হয়েছিল। আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের এ ব্যাপারে সতর্ক ও সজাগ থাকার নির্দেশ দিয়েছিলাম আমরা। শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে গণবিরোধী স্বৈরশাসকের ভিত কেঁপে উঠেছিল।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও