দামি ডিম কেন দামি? তদারকিতে নেই কেউ
প্রচলিত মুরগির ডিমের চেয়ে অর্গানিক, ওমেগা থ্রি ও ব্রাউন নামে প্রক্রিয়াজাত ডিম বেশি দামে বিক্রি হলেও এসবের পুষ্টি গুণ ও মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সরকারি কোনো নজরদারির ব্যবস্থা নেই।
উৎপাদন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো নিজস্ব ল্যাবে পরীক্ষা করে ডিমের পুষ্টিমান নির্ধারণ ও উৎপাদন খরচ অনুযায়ী দাম নির্ধারণ করছে বলে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের এক শুনানিতে উঠে এসেছে।
অ্যাগ্রো ও পোল্ট্রি ব্যবসার কোম্পানি প্যারাগনের বিরুদ্ধে ডিমের বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি ও অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির অভিযোগে মামলা হয়েছে প্রতিযোগিতা কমিশনে। মঙ্গলবার কমিশন কার্যালয়ে ওই মামলার শুনানি হয়।
বাজারে ওমেগা থ্রি প্লাস ও ব্রাউন নামে দুই ধরনের ডিম রয়েছে প্যারাগনের, যা কিনতে বাড়তি দাম দিতে হয়। তাদের ই-কমার্স সাইট প্যারাগন ফুডে প্রতি ডজন ব্রাউন ডিম ১৭০ টাকা এবং প্রতি ডজন ওমেগা থ্রি প্লাস ২৩০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা যায়।
অন্যদিকে খোলা বাজারে এখন প্রতি ডজন সাধারণ ডিম সর্বোচ্চ ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যদিও বাজার অস্থিতিশীল হওয়ার আগে এই ডিম পাওয়া যেতে ১১০ টাকা থেকে ১২০ টাকায়।
মঙ্গলবারের শুনানিতে প্রতিযোগিতা কমিশনের সদস্য জি এম সালেহ উদ্দিন প্যারাগন প্রতিনিধিদের কাছে জানতে চান, ভিন্ন নামে বাজারজাত করা এসব ডিমে ভ্যালু এডিশনের মান কোনো সরকারি সংস্থা যাচাই-বাছাই করে কিনা?