চোখ ওঠার সমস্যায় কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন?
বর্তমানে চোখ ওঠা বা কনজেক্টিভাইটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন ছোট-বড় অনেকেই। পরিবারের কারও চোখে সংক্রমণ দেখা দিলে অন্যদের মধ্যেও তা ছড়িয়ে পড়ছে। ছোঁয়াচে এই সংক্রমণের পেছনে দায়ী ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও অ্যালার্জেন। কনজেক্টিভাইটিসের ফলে চোখ গোলাপি বা লালচে হয়ে যায়। একই সঙ্গে চোখে কাঁটার মতো অনুভূতি হয়।
এছাড়া চোখ দিয়ে পানি পড়া, সাদা স্রাব জমা, চোখ জ্বালাপোড়া, ব্যথা, আলোর দিকে তাকাতে না পারা, চোখ ফুলে যাওয়া ইত্যাদি যন্ত্রণাদায়ক লক্ষণ দেখা দেয়। সাধারণত কনজেক্টিভাইটিস ৩ ধরনের হয় যেমন- ভাইরাল, ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যালার্জিক কনজেক্টিভাইটিস। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক কোনটি কেন হয় ও এদের চিকিৎসা কী? ভাইরাল কনজেক্টিভাইটিস ভাইরাল কনজেক্টিভাইটিসের লক্ষণ অনেকটাই হালকা ধরনের হয়। সংক্রমণে ৭-১৪ দিনের মধ্যেই চিকিত্সা ছাড়াই সেরে যায় চোখের সমস্যা।
যাই হোক কিছু ক্ষেত্রে ভাইরাল কনজেক্টিভাইটিস সারতে ২-৩ সপ্তাহ বা তার বেশি সময়ও লাগতে পারে। কনজেক্টিভাইটিসের আরও গুরুতর রূপের চিকিৎসার জন্য একজন ডাক্তার অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ লিখে দিতে পারেন। ব্যাকটেরিয়াল কনজেক্টিভাইটিস হালকা ব্যাকটেরিয়াল কনজেক্টিভাইটিস অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসা ছাড়াই ও কোনো জটিলতা সৃষ্টি না করেই সেরে যায়। এটি প্রায়শই চিকিৎসা ছাড়াই ২-৫ দিনের মধ্যে চোখ পরিষ্কার করে দেয়। তবে সম্পূর্ণরূপে চলে যেতে ২ সপ্তাহ সময় নিতে পারে। ব্যাকটেরিয়াল কনজেক্টিভাইটিসের জন্য ডাক্তার আপনাকে অ্যান্টিবায়োটিক লিখে দিতে পারেন। এক্ষেত্রে সাধারণত চোখের ড্রপ বা মলম ব্যবহারের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।