ইরানে ধরপাকড় ও মৃত্যু বাড়লেও বিক্ষোভের তেজ কমছে না
ইরানে পুলিশি হেফাজতে তরুণী মাসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনায় আজ মঙ্গলবার দেশটির একাধিক শহরে দাঙ্গা পুলিশ ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। এদিকে চলমান এই বিক্ষোভে দেশটিতে আজ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭৬ হয়েছে। নরওয়ের অসলোভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর) এ তথ্য জানিয়েছে।
বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে আসলে কতজন মারা গেছেন, তা নির্দিষ্ট করে জানা না গেলেও আইএইচআর জানিয়েছে, তাদের কাছে ৭৬ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। আর ইরানের কর্মকর্তারা বলেছেন, ১ হাজার ২০০ জনের বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে মানবাধিকারকর্মী ও সাংবাদিকও রয়েছেন। বিক্ষোভ দমনে বিক্ষোভকারীদের পাশাপাশি সাংবাদিক, অধিকারকর্মীদের ওপরও ধরপাকড় চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ধরপাকড় ও মৃত্যু বাড়লেও বিক্ষোভের তেজ কমছে না। টুইটারে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে, ইরানের ধর্মীয় শাসকগোষ্ঠীর পতন চেয়ে রাজধানী তেহরান, তাবরিজ, কারাজ, কোম, ইয়াজদ ও অন্য শহরগুলোতে বিক্ষোভ করেন মানুষ। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তাঁদের সংঘর্ষ হয়।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, কিছু শহরে দাঙ্গাকারীদের (বিক্ষোভকারী) সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাসের শেল ব্যবহার করে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে বিক্ষোভকারীদের স্লোগান দিতে দেখা যায়। তাঁদের হিজাব পোড়াতে দেখা যায়।