লরির সঙ্গে সংঘর্ষের পর খাবার হোটেলে ঢুকে গেল বেপরোয়া বাস
নরসিংদীর রায়পুরায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে নীলকুঠি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জ্বালানি তেলবাহী লরি ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে হয়েছে। পরে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশে একটি খাবার হোটেলে ঢুকে যায়। এ ঘটনায় বাসচালকের এক সহকারীসহ ১২ যাত্রী আহত হন। মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ দুর্ঘটনা এ ঘটে।
আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় ও কিশোরগঞ্জের ভৈরবের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে আহত ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। হাইওয়ে পুলিশ ও বাসের যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকালে ঢাকাগামী যাতায়াত পরিবহনের একটি বাস যাত্রী নিয়ে ভৈরব বাসস্ট্যান্ড ছেড়ে যায়। মহাসড়কে ওঠার পর বাসটি বেপরোয়া গতিতে চালানো শুরু করেন চালক। এসময় যাত্রীরা উচ্চগতির ব্যাপারে আপত্তি জানালেও চালক তা মানেননি।
বাসটি নীলকুঠি এলাকায় পৌঁছলে আঞ্চলিক সড়ক থেকে একটি সিএনজি মহাসড়কে প্রবেশ করে। এসময় সিএনজিকে সাইড দিতে গিয়ে ভৈবরগামী মেঘনা তেলবাহী লরির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। পরে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশের একটি খাবার হোটেলে ঢুকে যায় এবং একটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ধাক্কা দেয়। এতে বাসচালকের এক সহকারীসহ ১২ জন যাত্রী আহত হন। আহতদের স্থানীয় ও ভৈরব শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দুর্ঘটনায় বাস ও লরির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। বাসের ধাক্কায় খাবার হোটেলের আংশিক ও একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে গেছে। এসময় হোটেলের মালিক দৌড়ে বেরিয়ে আসায় প্রাণে বেঁচে যান। এদিকে, বাস ও লরি সংঘর্ষের পর ঢাকা-সিলেট মহাড়কে দেখা দেয় তীব্র যানজট। খবর পেয়ে ভৈরব হাইওয়ে থানার পুলিশ গিয়ে সড়ক থেকে লরিটি সরানো হলে বেলা ১১টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। আব্দুল আউয়াল নামে বাসের এক যাত্রী জানান, চালককে মানা করার পরও বাসটি মহসড়কে বেপরোয়া গতিতে চালাচ্ছিলেন। গতি বেশি থাকায় ও একটি সিএনজিকে সাইড দিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারান চালক।
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- সড়ক দুর্ঘটনা
- বেপরোয়া গাড়িচালক