হাওর পর্যটনে নতুন ধারা
কোনোটার নাম ‘জলতরঙ্গ’, কোনোটা ‘গল্পতরী’ বা ‘মেঘদূত’। বাহারি নামগুলো সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরের বিশেষায়িত নৌযানের, যা পরিচিত ‘হাউসবোট’ হিসেবে। চলতি মৌসুমে এমন অর্ধশতাধিক নতুন হাউসবোট ভেসেছে হাওরের পানিতে। হাউসবোটগুলোর মালিকানা দুই শতাধিক তরুণের।
বিনিয়োগকারী ১০ তরুণের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিটি নৌযান তৈরিতে খরচ হয়েছে ১৮ থেকে ২৫ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে বিনিয়োগ ১০ কোটি টাকার বেশি।
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর ও ধরমপাশা উপজেলায় টাঙ্গুয়ার হাওরের অবস্থান। হাওরের ভেতরে জালের মতো ছড়িয়ে আছে অসংখ্য খাল ও নালা। বর্ষায় সব মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। জলের ওপর মাথা তুলে ভেসে থাকা হিজল-করচ গাছ, পাখির ওড়াউড়ি, অনতিদূরে ভারতের মেঘালয়ের পাহাড়। হাওর ও মেঘ-পাহাড়ের এমন রূপে মুগ্ধ হয়ে প্রতিবছর হাজারো পর্যটক ঘুরতে যান হাওরে। যাঁদের ঘিরে বিকশিত হচ্ছে নতুন ধারার ‘হাওর-পর্যটন’।
হাওরে পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা বলছেন, টাঙ্গুয়ার হাওরে প্রথম হাউসবোট তৈরি হয় ২০১৯ সালে। ‘জলকুঠি’ নামের হাউসবোটটি তখন তেমন প্রচার পায়নি। ২০২১ সালে ‘টাঙ্গুয়ার অভিযাত্রিক’, ‘বজরা’সহ চারটি নতুন হাউসবোট হাওরে ভাসে। আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ বিলাসবহুল নৌযানগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার পায়।
হাওরে পর্যটকের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। এতে অন্যরাও বিনিয়োগে আগ্রহী হন। এর ধারাবাহিকতায় এ বছর অর্ধশতাধিক হাউসবোট হাওরে পর্যটন সেবায় যুক্ত হয়। আগে হাওর ভ্রমণ ছিল শুধুই রোমাঞ্চপ্রিয় পর্যটকদের জন্য। এখন পরিবার নিয়েও স্বচ্ছন্দে ঘুরতে যাচ্ছেন অনেকে।
বিজ্ঞাপন