ঘাট ইজারাদারের লোভের বলি অর্ধশত প্রাণ

www.ajkerpatrika.com বোদা প্রকাশিত: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:২৯

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার আউলিয়া ঘাটটি স্বাধীনতার পর থেকেই স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণে। পূজার সময় খেয়াঘাটের যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করেন তাঁরা। এখানেই শেষ নয়, এ সময় নৌকায় ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী তোলেন ইজারাদারের লোকজন। তাঁদের অর্থ লোভের বলি হলো অর্ধশত প্রাণ।


গত রোববার করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় গতকাল সোমবার পর্যন্ত ৫০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। করতোয়ায় নৌকা ডুবলেও লাশ ভেসে গেছে আত্রাই ও ঢেপা নদী পর্যন্ত। গতকাল দিনাজপুরের বীরগঞ্জ ও খানসামা উপজেলার মাঝ দিয়ে প্রবাহিত আত্রাই ও তার শাখা নদী ঢেপা থেকে সাতজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।


পঞ্চগড় জেলা প্রশাসনের প্রকাশ করা তালিকা অনুযায়ী, গতকাল পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া লাশগুলোর মধ্যে ১২ জন পুরুষ, ২৫ জন নারী ও শিশু ১৩টি। এর মধ্যে বোদা উপজেলার ২৯ জন, দেবীগঞ্জ উপজেলার ১৮ জন এবং আটোয়ারী উপজেলা, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় সদরের একজন করে মারা গেছেন।


মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার জন্য ইজাদারের দ্বিগুণ ভাড়া আদায় ও অতিরিক্ত যাত্রী তোলাকে দায়ী করেছেন প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা। নুরুল ইসলাম নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, আউলিয়া ঘাট পরিচালনা করেন বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের তারাবুল ইসলাম ও নজরুল ইসলাম। পূজার সময় তাঁরা দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করেন। গত রোববার ১০ টাকার ভাড়া ২০ টাকা পাওয়ার আশায় অতিরিক্ত যাত্রী তোলা হয়।


এতে নৌকাটি কিছু দূর যাওয়ার পরই দুর্ঘটনায় পড়ে। নৌকাডুবির এই ঘটনায় তাৎক্ষণিক উদ্ধার তৎপরতায় ঢিলেমি ছিল বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, ঘটনার পর থেকে প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন তৎপর হলে মৃত্যু কমানো যেত।


বিজ্ঞাপন



সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও