পুরনোগুলোর অগ্রগতি শ্লথ তবু নতুন নতুন উদ্যোগ
গুগল, ফেসবুক, অ্যাপল, ইন্টেল, আসুস থেকে শুরু করে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রসিদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর কেন্দ্রস্থল যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি। তবে উচ্চ শুল্ক, আবাসন ও কার্যালয় ভবনের জন্য অত্যধিক খরচ বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই প্রযুক্তিভিত্তিক সবচেয়ে বৃহৎ ওই বাণিজ্য কেন্দ্র ছাড়ছে। এদের কেউ কেউ তাদের উৎপাদনকেন্দ্র স্থানান্তর শুরু করেছে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে, বিশেষ করে ভারতে। এছাড়া চীনভিত্তিক বৈশ্বিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোও স্বল্প খরচে কার্যক্রম চালানো যায় এমন সব দেশে কারখানা স্থানান্তর করছে। আর এসব বিনিয়োগ যাতে বাংলাদেশে আসে সে জন্য নেয়া হচ্ছে বিভিন্ন উদ্যোগ। এমনকি সিলিকন ভ্যালির উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগে আকৃষ্ট করতে এ দেশে বিশ্বমানের পরিবেশ দিতে চায় সরকার। সে লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ (বিএইচটিপিএ)। নির্মাণ করা হচ্ছে ৯২টি পার্ক। এর মধ্যে ৯টিতে চালু হয়েছে ব্যবসায়িক কার্যক্রম। তবে যে আশার আলো ছড়িয়ে উদ্যোগটি নেয়া হয়েছিল সময়ের আবর্তে তাতে কিছুটা মেঘ জমেছে। শ্লথগতিতে চলছে সব কাজ। যদিও নতুন নতুন পরিকল্পনা গ্রহণে থেমে নেই সংস্থাটি। লক্ষ্যমাত্রা থেকে পিছিয়ে থাকলেও একের পর এক নতুন প্রকল্প নিয়েই বেশি আগ্রহ কর্তৃপক্ষের।
জানা গিয়েছে, হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের আওতাধীন দুটি হাই-টেক পার্ক, তিনটি সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক ও চারটি আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারে বর্তমানে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এছাড়া একটি হাই-টেক পার্কসহ মোট ৪৮টি আইটি পার্ক, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার ও সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক নির্মাণাধীন। আরো ৩৫টি পার্কের প্রকল্প অনুমোদন পেলেও কাজ শুরু হয়নি। এর মধ্যেই আবার আরো ৮৭টি নতুন পার্ক গড়ার পরিকল্পনা করছে বিএইচটিপিএ। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখেই এ উদ্যোগ বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।