আগামী নির্বাচনে কারচুপির হাতিয়ার ইভিএম: বাম জোট
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দুই লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কিনতে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এতে খরচ হবে ৮ হাজার ৭১১ কোটি টাকা। বাম গণতান্ত্রিক জোট এই প্রকল্প বাতিলের দাবি জানিয়ে বলেছে, আগামী নির্বাচনে কারচুপির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হবে ইভিএম।
আজ শুক্রবার পল্টনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সভায় এসব কথা বলা হয়। বাম জোটের নেতারা বলেন, আর্থিক সংকটের সময় জনগণের দেওয়া অর্থের ৮ হাজার ৭১১ কোটি টাকার ইভিএম প্রকল্প বাতিল করতে হবে। সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ও নির্বাচনব্যবস্থার সংস্কারকে প্রাধান্য না দিয়ে ‘নির্বাচনী রোডম্যাপ’, ‘ইভিএম’ ইস্যুকে সামনে আনা বিশেষ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
সভায় জোটের নেতারা বলেন, বর্তমান সরকারের পায়ের তলার মাটি নেই। তাই ক্ষমতায় থাকতে ভয়ের রাজত্ব কায়েম করছে সরকার। কোথাও কোথাও সরকারি দলের সন্ত্রাসী ও পুলিশ যৌথভাবে হামলা চালাচ্ছে। জনগণের কণ্ঠস্বর বন্ধে নিপীড়নের মাত্রা বৃদ্ধি করেছে। তাঁরা আরও বলেন, সাধারণ মানুষ আর্থিক সংকটে জর্জরিত হলেও মন্ত্রী-আমলাদের বিদেশ ভ্রমণ, অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ, দুর্নীতি-লুটপাট অব্যবস্থাপনা থামছে না।
বর্তমান পরিস্থিতি বদলাতে জনগণের ঐক্য ও বাম গণতান্ত্রিক বিকল্প শক্তি সমাবেশ গড়ে তোলার কথা বলে বাম জোট।
বাম জোটের সমন্বয়ক ও সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন (প্রিন্স) সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের আব্দুস সাত্তার, বাসদের (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হকসহ প্রমুখ।