কোনো নির্দিষ্ট শ্রেণির ভিডিও দেখতে ব্যবহারকারী তার অনিচ্ছার কথা ইউটিউবকে জানানোর পরও পরামর্শে একই ধরনের ভিডিও কনটেন্ট আসতে থাকে বলে উঠে এসেছে এক গবেষণায়।
২০ হাজারের বেশি ইউটিউব ব্যবহারকারীর ‘ভিডিও রেকমেন্ডেশন’ তথ্যদি বিশ্লেষণ করে মজিলা গবেষকরা খুঁজে পেয়েছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অকার্যকর ‘নট ইন্টারেস্টেড’, ‘ডিসলাইক’, ‘স্টপ রেকোমেন্ডিং চ্যানেল’ ও ‘রিমুভ ফ্রম ওয়াচ হিস্টরি’র মতো বাটন।
প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো ফলাফলেও দেখা গেছে অর্ধেকের বেশি বারই এমন ভিডিও পরামর্শ দেয়, যেগুলো ব্যবহারকারী দেখতে চান না। সবচেয়ে বাজে বিষয় হলো, একই ধরনের ভিডিও ঠেকাতে তেমন কোনো লক্ষণই দেখা যায় না বাটন চাপার ফলাফলের।
ভিডিও ও ব্যবহারকারীর কাছ থেকে প্রকৃত তথ্য সংগ্রহে মজিলা গবেষকরা বাছাই করেন মজিলা ফাউন্ডেশনের ‘রিগ্রেটসরিপোর্টার’ নামে ব্রাউজার এক্সটেনশন ব্যবহার করা স্বেচ্ছাসেবকদের। এটি অংশগ্রহণকারীর দেখা ইউটিউব ভিডিও’তে একটি সাধারণ ‘স্টপ রেকমেন্ডিং’ বাটন যোগ করে।
অন্যদিকে, ব্যবহারকারীকে দৈবচয়নের ভিত্তিতে বিভিন্ন দলের অংশ করা হয়। ফলে, প্রতিবার মজিলার বসানো বাটনে ক্লিক করলে ইউটিউবের কাছে ভিন্ন ভিন্ন সিগনাল পৌছায় — ডিসলাইক, নট ইন্টারেস্টেড, ডোন্ট রেকমেন্ড চ্যানেল, রিমুভ ফ্রম হিস্টরি ও একটি নিয়ন্ত্রক দল, যাদের কোনো ফিডব্যাক প্ল্যাটফর্মে পৌঁছায়নি।