সীমান্তে আতঙ্ক- সামরিক শক্তি বৃদ্ধি জরুরি
গত ২৮ আগস্ট বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু বাজার এলাকায় মিয়ানমার থেকে ছোড়া দুটি মর্টার শেল বাংলাদেশের প্রায় আধা কিলোমিটার ভেতরে ঘুমধুম সীমান্তে পড়ে। উভয় মর্টার শেল অবিস্ফোরিত পাওয়া গেছে। তাই এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এ ঘটনার পর সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। বিজিবির সদস্যরা মর্টার শেল দুটি ঘিরে ফেলেন এবং নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা করেন। মিয়ানমারের কাছে বাংলাদেশ কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছে। কিন্তু মিয়ানমার কর্তৃক সীমান্তে বাড়াবাড়ি থামেনি। কারণ এর পর ১৬ ও ১৭ সেপ্টেম্বর ৯টি মর্টারের গোলা বাংলাদেশের ভূখ-ের অভ্যন্তরে পড়ে। তা নিয়ে পুরো বাংলাদেশ তো আতঙ্কে রয়েছে। ওই এলাকার মানুষ খুবই আতঙ্কে আছে।
সীমান্তে অবিস্ফোরিত মর্টার শেল দুর্ঘটনাজনিত, নাকি ইচ্ছাকৃতÑ তা আগে খতিয়ে দেখা হবে। তবে এখন মিয়ানমার সরকার বলছে, এগুলো তাদের ইচ্ছাকৃত নয়। ঘুমধুম সীমান্তসহ আশপাশ এলাকায় এই পরিস্থিতির জন্য মিয়ানমার এবার আরাকান আর্মির পাশাপাশি রাখাইনের সশস্ত্র সংগঠন আরসার ওপর দায় চাপিয়েছে। দেশটি বলেছে, বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যমান ‘আন্তরিক সম্পর্ক’ নষ্ট করার স্বার্থে এ দুইপক্ষ মিলে সীমান্ত এলাকায় চলমান পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। কিন্তু এই ধরনের সীমান্তে উসকানি কোনোভাবেই সহ্য করা যাবে না। এ জন্য কূটনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধি করতে হবে। আবার মিয়ানমারের উসকানিতে পা দেওয়া যাবে না। আমাদের কৌশলগতভাবে এ বিষয়টি মোকাবিলা করতে হবে।