টাকা যেভাবে ভাসমান হলো

প্রথম আলো প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৩:২৯

স্বাধীনতার আগের কথা। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ছিল পাকিস্তানের অংশ। পাকিস্তানের মুদ্রা রুপি। ’৬০–এর দশকের শুরুতেই ডলারপ্রতি রুপির বিনিময় হার নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল। তখন ডলারের দাম ঠিক করা হয় ৪ দশমিক ৭৯৩ রুপি। ’৬০–এর দশকজুড়ে পাকিস্তানের মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ শতাংশের কম। অন্যান্য প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় পাকিস্তানের মূল্যস্ফীতি ছিল কম এবং রুপিও ছিল অতিমূল্যায়িত। অর্থনীতিবিদেরা লিখেছেন, পাকিস্তান সে সময় নীতির অংশ হিসেবে রুপিকে অতিমূল্যায়িত রেখেছিল, লক্ষ্য ছিল ‘জোরপূর্বক শিল্পায়ন’।


যেভাবে টাকার নোট এল


বাংলাদেশে প্রথম কাগুজে নোট চালু করা হয়েছিল ১৯৭২ সালের ৪ মার্চ। ওই দিন প্রথম ১ টাকা ও ১০০ টাকার নোট চালু করা হয়। এর আগপর্যন্ত লেনদেনে পাকিস্তানি রুপি ব্যবহার করা হতো। কেউ কেউ ভারতীয় রুপিও গ্রহণ করতেন। যথেষ্ট দ্রুততার সঙ্গে ভারত থেকে নতুন নোট ছাপানো হয়েছিল। তবে এসব নোটে নিরাপত্তা জলছাপ ছিল না। ফলে সহজে জাল করা যেত। এসব নোট ১৯৭৪ সালের ৩০ মার্চের মধ্যে তুলে নেওয়া হয়েছিল।


১৯৭২ সালের ৪ মার্চ আরও একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, বাদ দেওয়া হয় পাকিস্তান আমলের ৫০ টাকার নোট। পাকিস্তানি ৫০ রুপির বদলে বাংলাদেশি টাকা দেওয়া হয়েছে তখন।


দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখার জন্য ব্রেটন উডস ব্যবস্থা চালু হয়। এ ব্যবস্থায় মুদ্রার অবমূল্যায়ন করা যেত না, আর মুদ্রা ছিল সোনায় রূপান্তরযোগ্য। বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হয় তখন এই ব্যবস্থা বাতিল হওয়ার পথে।


বিশেষ করে অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন ডলারের অবমূল্যায়ন করলে ব্রেটন উডস ব্যবস্থা একপ্রকার ভেঙেই পড়েছিল। ১৯৭১ সালের আগস্ট মাসে প্রথম প্রেসিডেন্ট নিক্সন ডলারের সোনায় রূপান্তরযোগ্য রাখার বিধান সাময়িকভাবে স্থগিত করেছিলেন। আর চূড়ান্তভাবে তা বাতিল হয় ১৯৭৩ সালে। তখন থেকে মুদ্রার বিনিময় হার ছিল ভাসমান।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও