‘ওষুধ প্রয়োগে রোগী-চিকিৎসককে আরও সচেতন হতে হবে’
দেশে ওষুধ অনিয়ন্ত্রণের বিষয়টি ভয়াবহ আকারে বাড়ছে। রোগীরাও নিজেদের পছন্দমতো ওষুধ ফার্মেসি থেকে কিনে খাচ্ছেন। একইসঙ্গে চিকিৎসকরাও অপ্রয়োজনীয় নানা ওষুধ সেবনে রোগীদের পরামর্শ দিচ্ছেন। এই অবস্থায় ওষুধের ব্যবহার ও নানাবিধ প্রয়োগে উভয়পক্ষকে সচেতন হতে হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসা-বিশেষজ্ঞরা।
রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) ওয়ার্ল্ড পেশেন্ট সেফটি ডে-২০২২ উপলক্ষে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর আয়োজিত ‘ক্ষতি ছাড়া ওষুধ, বিশ্বব্যাপী রোগীর নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তারা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ কে এম আমিরুল মোরশেদ বলেন, অনিয়ন্ত্রিত ওষুধের ব্যবহার কমাতে হবে। অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই নিজে নিজে ওষুধ কিনে খেয়ে ফেলেন, এটা ভয়ংকর বিষয়। ওষুধ ব্যবহারে আমাদের সচেতন হতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা দেখি যে এখন অনেক মেডিসিনেই নেফ্রটক্সিক উপাদান পাওয়া যায়। এটি যা সিকেডি হওয়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কাছে আমার আবেদন থাকবে, বিষয়টি যেন কঠোরভাবে দেখা হয়। কারণ, এটি মানুষের মধ্যে কিডনি ডিজিজ বাড়ার অন্যতম কারণ।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফার্মেসি অনুষদের প্রধান ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার বলেন, একজন ফার্মাসিস্টকে বাদ দিয়ে ড্রাগ সেফটি নিশ্চিত করা যাবে না। আমরা ফার্মাসিস্ট কাদের বলি, যারা গ্রাজুয়েট কমপ্লিট। তিন মাসের ট্রেনিং দিয়ে ড্রাগ সেফটি নিয়ন্ত্রিত হয়? সি গ্রেডের ফার্মাসিস্ট বিশ্বের কোথাও নেই।
- ট্যাগ:
- স্বাস্থ্য
- ওষুধ
- ক্ষতিকর দিক