![](https://media.priyo.com/img/500x/https://www.jugantor.com/assets/news_photos/2022/09/15/image-595278-1663194157.jpg)
গত দুদিন, বিশেষত মঙ্গলবার প্রচণ্ড যানজটের কবলে পড়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে রাজধানীবাসীদের। বিআরটি প্রকল্পের ব্যর্থতাই মূলত দায়ী এ যানজটের জন্য। এ প্রকল্পের ব্যর্থতার কারণে খানাখন্দে ভরা জয়দেবপুর থেকে আব্দুল্লাহপুর সড়কে জলজট দেখা দেয়। এ কারণে ওই সড়কে গাড়ি চলাচল এক প্রকার বন্ধ হয়ে যায়। এতে ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ স্থবির হয়ে পড়ে।
এর ফলে সকাল থেকে গাজীপুর ও রাজধানী ঢাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া রাজধানীর ভাঙাচোরা ও গর্তে ভরা সড়কেও জলজটের কারণে যানবাহনের গতি কমে যায়। একদিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়ে, অন্যদিকে প্রগতি সরণির এয়ারপোর্টমুখী সড়ক ছিল স্থবির। ঢাকা-ময়মনসিংহ রোডের যানজটের প্রভাব পড়েছে মিরপুর ইসিবি চত্বর পর্যন্ত।
এদিকে মতিঝিল থেকে মালিবাগ, রামপুরা, বাড্ডা, শাহজাদপুর, কুড়িল হয়ে এয়ারপোর্ট রোড ছিল স্থবির। এতে দিনভর নগরবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানবাহনে বসে থাকার পর গন্তব্যে পৌঁছেছেন নগরবাসী। অনেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যেই হেঁটে পৌঁছেন গন্তব্যে। সকালে যানজটের প্রকোপ টঙ্গী, আব্দুল্লাহপুর, বিমানবন্দর ও মিরপুরের কালশি এলাকায় থাকলেও সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বিস্তৃত হয়েছে চতুর্দিকে।
এর প্রভাব ছিল দিনভর। ভয়াবহ যানজটের কারণে খুব প্রয়োজন নেই এমন অনেকে ফিরে গেছেন বাসায়। সুযোগ বুঝে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, রিকশা ও মোটরবাইকের রাইডশেয়ারিংয়ের চালকরা যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুণ থেকে পাঁচগুণ অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করেছেন।