কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ছড়িয়ে পড়া মৃত্যুদণ্ডের ভিডিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে : তালেবান

কালের কণ্ঠ আফগানিস্তান প্রকাশিত: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৯:৩০

তালেবান যোদ্ধারা একটি আফগান বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বন্দি সদস্যদের হত্যা করছে এমন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর তালেবান সরকার সেই ভিডিও খতিয়ে দেখছে। বুধবার একজন সরকারি মুখপাত্র এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর আল অ্যারাবিয়ার। আফগানিস্তানের পাঞ্জশির উপত্যকার বাইরে কাজ করা একটি নতুন দল ন্যাশনাল রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (এনআরএফ) বলেছে, ভিডিওতে তাদের কিছু যোদ্ধাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার দৃশ্য দেখানো হয়েছে।


তারা তালেবানকে 'যুদ্ধাপরাধ' করার জন্য অভিযুক্ত করেছে। ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পরে। সেখানে দেখা যায়, বন্দিদের দুটি দলকে পিঠের পেছনে হাত বেঁধে পাহাড়ের ধারে বসিয়ে রাখা হয়েছে। পরে তাদের স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দ্বারা গুলি চালিয়ে তালেবান যোদ্ধারা হত্যা করে। যোদ্ধাদের 'আল্লাহু আকবর' বলে চিৎকার করতে শোনা যায়। এবং পরে একজন লোককে বলতে শোনা যায়, 'এটা থামাও, থামো'।


কিন্তু ততক্ষনে বন্দিদের মৃত দেখা যায়। এএফপির ডিজিটাল যাচাইকরণ দল জানিয়েছে, ভিডিওটির প্রথম সংস্করণ শুধুমাত্র গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ইন্টারনেটে প্রকাশ করা হয়েছে। সরকারের মুখপাত্র বিলাল করিমি জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ তদন্ত করছে। করিমি এএফপিকে বলেছেন, 'এই ভিডিওগুলো ঠিক কখন ধারণ করা হয়েছে এবং সেগুলো পুরানো কিনা তা জানতে আমরা এটি খতিয়ে দেখছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত ভিডিওতে দেখানো জায়গা, ভিডিওর সময় বা এতে কারা কারা রয়েছে সে সম্পর্কে আমরা একেবারেই জানি না। ' ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার একদিন আগেই তালেবান জানিয়েছিল তাদের বাহিনী পাঞ্জশির উপত্যকায় সংঘর্ষে কমপক্ষে ৪০ জন এনআরএফ যোদ্ধাকে হত্যা করেছে। এদিকে এনআরএফ বলেছে, ভিডিওতে যাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে দেখা গেছে তাদের উপত্যকায় লড়াইয়ের সময় বন্দি করা হয়েছিল। বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির মুখপাত্র সিবগাতুল্লাহ আহমাদি টুইটারে বলেছেন, 'তালেবান অপরাধী, এনআরএফের আট সদস্যকে গুলি করে ও শহীদ করে আবারও যুদ্ধাপরাধ করেছে। ' নৈসর্গিক পাঞ্জশির উপত্যকা ১৯৮০ এর দশকে সোভিয়েত দখলের বিরুদ্ধে আফগান প্রতিরোধের কেন্দ্র ছিল। এছাড়া এটি ১৯৯০ এর দশকের শেষের দিকে তালেবানদের প্রথম ক্ষমতায় আসার জন্য বিখ্যাত। গত বছরের আগস্টে তালেবানরা ক্ষমতায় ফিরে আসার পর এটিই ছিল আফগানিস্তানের শেষ অংশ। এনআরএফের নেতৃত্বে আছেন আহমেদ মাসুদ। তিনি কিংবদন্তি সোভিয়েত বিরোধী এবং তালেবান বিরোধী যোদ্ধা আহমেদ শাহ মাসুদের ছেলে। শাহ মাসুদ, পাঞ্জশিরের সিংহ নামে পরিচিত। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে হামলার দুই দিন আগে আল-কায়েদার হাতে নিহত হোন তিনি। তখন থেকেই তালেবান বাহিনীর বিরুদ্ধে দায়িত্ব নিয়েছেন আহমেদ মাসুদ। তিনি বারবার ইসলামপন্থী শাসনকে 'অবৈধ' বলে নিন্দা করেছেন। জুলাই মাসে আফগানিস্তানে জাতিসংঘের মিশন অভিযোগ করেছে, তালেবানরা ক্ষমতা দখল করার পর থেকে বিচারবহির্ভূত হত্যা ও নির্যাতনসহ শত শত মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও