৩ সিনেমার অপেক্ষায় ঐশী
২০১৮ সালের কথা। ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্সে চলছিল ‘পোড়ামন টু’। জীবনে প্রথম সিনেমা দেখতে হলে গিয়েছিলেন জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী। সিনেমা শেষে হলের সামনের সিঁড়িতে একা দাঁড়িয়ে বেশ কয়েকটি ছবি তুললেন তিনি। ঠিক চার বছর পর সেই স্টার সিনেপ্লেক্সের সামনে আবারও ছবি তুললেন। তবে এবার আর একা নন, পেছনে ছিলেন শখানেক দর্শক। সিনেমা শেষে নায়িকা ঐশীর সঙ্গে ছবি তুললেন তাঁরা।
এ বছর মুক্তি পেয়েছে ঐশীর প্রথম সিনেমা ‘মিশন এক্সট্রিম’। তাঁর শৈশবের স্বপ্ন এখন বাস্তবে রূপ নিয়েছে। ঐশী বলেন, ‘টিভিতে সিনেমা দেখে দেখে ছোটবেলায় স্বপ্ন দেখতাম নায়িকা হব। মনে মনে এও ভাবতাম, পর্দায় নিজেকে দেখার স্বপ্ন কি কখনো পূরণ হবে? সেই স্বপ্নটাই এবার পূরণ হলো আমার।’
এর জন্য অপেক্ষাও কম করতে হয়নি। করোনার জন্য ঐশীর তৈরি হওয়া তিন সিনেমা মুক্তি পেতে বিলম্ব হচ্ছিল। পরিচিতজনদের এক প্রশ্ন, কবে বড় পর্দায় পাওয়া যাবে তাঁকে? ঐশী উত্তর দিতে পারেননি। অপেক্ষা করেছেন। ছোট পর্দায় অভিনয়ের প্রস্তাব এসেছে কিন্তু অভিনয় করেননি। নিজেকে নায়িকা হিসেবেই বড় পর্দায় দেখতে চেয়েছেন বরাবর। গত বছর ডিসেম্বরে মুক্তি পায় ঐশী অভিনীত দুই সিনেমা। ‘মিশন এক্সট্রিম’ ও ‘রাত জাগা ফুল’, দুই সিনেমাতেই ঐশীর অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। ঐশী বলেন, ‘সিনেমা দুটি পরপর মুক্তি পেয়েছে, ভালো সাড়া পেয়েছি। “মিশন এক্সট্রিম” সিনেমা বেশ আলোচিত হয়েছে। “রাত জাগা ফুল” সিনেমাটিও খুব প্রশংসিত হয়েছে। অভিনয়টা আরও শিখতে চাই, অভিনয় নিয়েই থাকতে চাই।’