কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ঘুসের মূল্যস্ফীতি!

জাগো নিউজ ২৪ প্রভাষ আমিন প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:০৫

মানুষের সেবা করা মহৎ কাজ। কিছু কিছু মানুষ আছেন, যারা ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ান। মানে তারা স্বেচ্ছাশ্রমে মানুষের সেবা করেন। তারা সত্যিকারের মহৎ মানুষ। এই মহৎপ্রাণ মানুষগুলো আছে বলেই পৃথিবী এখনও বাসযোগ্য। কিন্তু এমন মহৎ মানুষের সংখ্যা এখন কমে আসছে। ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো লোকদের সবাই বোকা ভাবে। এই বোকা মানুষগুলো মানুষের সেবা করে যে আনন্দ পান, তা চালাক লোকেরা কখনো বুঝতেই পারবেন না। বোকা লোকদের কথা না হয় বাদই দিলাম। তারা মনের আনন্দে তাদের কাজ করতে থাকুক। সেবা তো আমাদের সবারই লাগে।


মানুষ সামাজিক জীব। মানুষ দলবদ্ধভাবে থাকে। একজনের সাহায্যে আরেকজন টিকে থাকে। প্রয়োজনে মানুষ টাকা দিয়ে সেবা কিনতে তৈরি। কিন্তু আমার অভিজ্ঞতা হলো, কিছু ‘বোকা লোক’ বাংলাদেশে সেবা সম্পর্কে আমাদের কোনো ধারণাই নেই। সেবাখাত মানেই যেন ব্ল্যাকমেইল করে টাকা আদায়।


সম্প্রতি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ চাপ্টার-টিআইবি একটি জরিপ করেছে। তার মোদ্দা কথা হলো- সেবা পেতে বেশি ঘুস দিতে হচ্ছে এখন। সেবা খাতে ঘুস আগেও ছিল, এখন আরেকটু বেড়েছে। অনিয়ম আর ঘুসে সেবা খাতে যেন প্রতিযোগিতা, কে কাকে ছাড়িয়ে যাবে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, পাসপোর্ট, বিআরটিএ, স্বাস্থ্যখাত, ভূমি সেবা- সবখানেই নৈরাজ্যের চূড়ান্ত।


সেবাখাত মানেই যেন হয়রানি আর ভোগান্তির এক অনন্ত উৎস। ইদানীং জন্মনিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র আর পাসপোর্টের তথ্য অভিন্ন করার উদ্যোগ নেওয়া হযেছে। খুবই ভালো উদ্যোগ। একজন মানুষের সব তথ্য অভিন্ন হওয়াই উচিত। কিন্তু এই তিনটার তথ্য মেলাতে গিয়ে সাধারণ মানুষের জীবন জেরবার। ছোটখাটো ভুল, নামের বানান, ঠিকানায় একটু এদিক-সেদিক হলেই তিন জায়গায় দৌড়াতে দৌড়াতে আপনার জীবন বরবাদ হয়ে যাবে।


কখনো কখনো মানুষ লিখতে গিয়ে বা টাইপ করতে গিয়ে বেখেয়ালে ভুল করে ফেলতে পারে। তবে অধিকাংশ সময় ভুল হয় সরকারি কর্তাদের খামখেয়ালিতে। আর সেটা ঠিক করতে মাসের পর মাস, বছরের পর বছর সাধারণ মানুষকে ঘুরতে হয়। আগেই বলেছি, সব জায়গায় একজন মানুষের সব তথ্য অভিন্ন হওয়াই উচিত।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও