কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


তিন শর্ত নিয়ে সরকার দর-কষাকষি করবে

স্বাধীনতার পর থেকে মোট ১১ বার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ। প্রতিবার ঋণের ক্ষেত্রেই আইএমএফ কঠিন শর্ত জুড়ে দিয়েছে। তবে এবার সংস্থাটির কাছে শর্তের বিষয়ে ছাড় আশা করেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। বিশেষ করে শর্ত হিসেবে ব্যাংকের সুদের হার ৯ শতাংশ থেকে বাড়ানোর পক্ষে নয় অর্থ মন্ত্রণালয়।

জাতীয় সঞ্চয়পত্র বিক্রির অর্থ বাজেট থেকে আলাদা করার পক্ষে আইএমএফ। তারা বলছে, এটা আলাদা করলে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ব্যয় বাড়িয়ে বেশিসংখ্যক গরিব মানুষকে সহযোগিতা করা সম্ভব হবে।

কিন্তু সরকার মনে করে, সঞ্চয়পত্র সামাজিক সুরক্ষার অংশ। নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের জন্য এটা চালু করা হয়েছে। এ নীতিতে কোনো পরিবর্তন আনা ঠিক হবে না। আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় সভার জন্য এভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জুলাই মাসে আইএমএফের কাছে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ চায় সরকার। আগামী ১০ থেকে ১৬ অক্টোবর আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সম্মেলন হবে যুক্তরাষ্ট্রে। ওই সম্মেলনে বাংলাদেশকে ঋণ দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করবে আইএমএফ।

আইএমএফ যদি সরকারের এ অবস্থানে সন্তুষ্ট না হয়, তাহলে ঋণ পাওয়া নিয়ে সমস্যা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আইএমএফের রেজিলিয়ান্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ট্রাস্ট (আরএসএফটি) তহবিল থেকে ১৫০ কোটি ডলার ঋণ চাইবে। এ তহবিল থেকে ঋণের ব্যাপারে আইএমএফ কঠিন কোনো শর্ত দেয় না। ঋণের মেয়াদ ২০ বছর। আর গ্রেস পিরিয়ড ১০ বছর।

গত মাসে আইএমএফের এশীয় প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলের বিভাগীয় প্রধান রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে একটি দল ঢাকা সফর করেছে। তারা ভর্তুকি কমানো, রাজস্ব খাতে সংস্কার, বাজেট থেকে সঞ্চয়পত্রকে আলাদা করা, বেঁধে দেওয়া ঋণের সুদের হার (৯ শতাংশ) তুলে দেওয়া, নগদ ও ঋণ ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনা, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকসহ ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ কমানো, ব্যাংক খাতে সুশাসন নিশ্চিত করা ও নজরদারি বাড়ানোসহ ব্যাংকগুলোর নিরাপত্তা সঞ্চিতি বিলম্বে সংরক্ষণের যে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে, তা বন্ধ করার পরামর্শ দিয়েছে।

আইএমএফের জন্য প্রতিবেদন তৈরি করছে সরকার : ঋণ পেতে সরকারের প্রস্তুতি এবং অর্থনীতির স্থিতিশীল অবস্থার সার্বিক চিত্র তুলে ধরা হবে এই প্রতিবেদনে। এরই মধ্যে ভর্তুকি কমাতে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। কৃষির ভর্তুকি কমাতে সারের দাম বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পথেও হাঁটছে সরকার।

যদিও আইএমএফের ঋণ পাওয়ার জন্য ভর্তুকি কমানো হচ্ছে—এ কথা মানতে নারাজ সরকার। বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে দাম সমন্বয় করা হচ্ছে—বলে সরকার আসছে। তবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, আইএমএফের জন্য তৈরি করা প্রতিবেদনে ভর্তুকি কমানোর এই চিত্র থাকবে।    

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন