দশ বছরে গবাদি পশু বেড়েছে ৬.৬২%, দুধ-মাংস বেড়েছে ১৫৭ শতাংশ
গত এক দশকে দেশে পশুপালন খাতে বিনিয়োগ বেড়েছে। বাজারে বাণিজ্যিকভাবে দুধ ও মাংস সরবরাহের ব্যবসায় নেমেছেন নতুন অনেক খামারি। সরকারি পর্যায়ে গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষের জাত উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে প্রাণিসম্পদ বিভাগও। এতে গত ১০ বছরে দেশে গবাদিপশুর সংখ্যা সামান্য বাড়লেও দুধ ও মাংস উৎপাদন বেড়েছে ১৫০ শতাংশেরও বেশি।
দেশে পশুপালন খাতে এ মুহূর্তে অন্যতম বড় সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে জমিস্বল্পতা ও চারণভূমির অভাব। গবাদিপশুর সংখ্যা বৃদ্ধি দেশের সক্ষমতাকে ছাড়িয়ে গেলে এ সংকট ভয়াবহ রূপ নেবে বলে আশঙ্কা খাতটির নীতিনির্ধারকদের। প্রাণিসম্পদ বিভাগসহ দেশের কৃষি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো গবাদিপশুর সংখ্যা সীমিত রেখে দুধ ও মাংস উৎপাদন বাড়ানোয় অগ্রাধিকার দিচ্ছে সবচেয়ে বেশি। গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষের জাত উন্নয়ন নিয়ে ব্যাপক মাত্রায় গবেষণাও চলছে। দুধ-মাংসসহ ডেইরি পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধিতে এরই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের (ডিএলএস) তথ্য অনুযায়ী, ২০১২-১৩ অর্থবছরে দেশে গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষের সংখ্যা ছিল ৫ কোটি ৩২ লাখ ১১ হাজার। ওই সময় দুধ ও মাংস উৎপাদন ছিল প্রায় ৮৭ লাখ টন। সেখান থেকে সর্বশেষ গত অর্থবছরে (২০২১-২২) দেশে গবাদিপশুর সংখ্যা কিছুটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৬৭ লাখ ৩৪ হাজারে। অন্যদিকে দুধ ও মাংস উৎপাদন হয়েছে ২ কোটি ২৩ লাখ টনের বেশি। সে হিসেবে গত এক দশকে দেশে গবাদিপশু ৬ দশমিক ৬২ শতাংশ বাড়লেও দুধ ও মাংস উৎপাদনে প্রবৃদ্ধি ১৫০ শতাংশ ছাড়িয়েছে।
- ট্যাগ:
- ব্যবসা ও অর্থনীতি
- বিনিয়োগ
- গবাদি পশু
- পশুপালন