সার্ভিকাল ক্যান্সারের উপসর্গ
শ্রোণিদেশে ব্যথা ও অতিরিক্ত শ্রাবসহ জরায়ু সংযোগস্থলে ক্যান্সার হওয়ার আরও লক্ষণ রয়েছে।
তবে এই বিষয়ে জানা না থাকলে লক্ষণগুলো সহজেই এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব।
আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি বলছে, “যোনিদেশ আর জরায়ুর মধ্যবর্তী সংযোগস্থলে ‘সার্ভিক্স’ নামক অংশে যে ক্যান্সার হয় সেটাই হল ‘সার্ভিকাল ক্যান্সার’। প্রাথমিক অবস্থায় এর কোনো উপসর্গ পাওয়া যায় না। যখন আশপাশের কোষে ক্যান্সার ছড়িয়ে যায় তথনই সমস্যা দেখা দেওয়া শুরু করে।”
সম্ভাব্য উপসর্গ হল নারীর যৌনাঙ্গ থেকে অস্বাভাবিক রক্তপাত। একে অবহেলা করলে পরে অস্ত্রোপচার, ‘কেমোথেরাপি’, ‘রেডিওথেরাপি’ ইত্যাদির মাধ্যমে পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
এই সংস্থা আরও জানায়, “একসময় ক্যান্সারে মৃত্যু হওয়া সিংহভাগ আমেরিকার নারীদের মৃত্যুর কারণ ছিল এই ‘সার্ভিকাল ক্যান্সার’। তবে আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার কল্যাণে এখন পরীক্ষার মাধ্যমে ‘সারিভিক্স’য়ের পরিবর্তন চিহ্নিত করা যায়। ফলে ক্যান্সার সৃষ্টি হওয়ার আগেই তার সম্ভাবনা শনাক্ত করা যায়, এই পরীক্ষার নাম ‘প্যাপ স্মিয়ার’।
‘দ্য ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ গাইনেকোলজিকাল ক্যান্সার’য়ে অগাস্টে প্রকাশিত গবেষণার বরাত দিয়ে জানানো হয়, প্রাথমিক অবস্থায় শনাক্ত হওয়া ‘সার্ভিকাল ক্যান্সার’য়ের মাত্রা কমে গেলেও যুক্তরাষ্টে ‘অ্যাডভান্সড স্টেজ সার্ভিকাল ক্যান্সার’য়ের মাত্রা ২০০১ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে বেড়েছে। বিশেষ করে কমবয়সি নারীদের মাঝে।
- ট্যাগ:
- স্বাস্থ্য
- লক্ষণ
- জরায়ু ক্যান্সার