কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বৈশ্বিক জ্বালানি বাজার, সারের মূল্যবৃদ্ধি ও আমাদের করণীয়

বণিক বার্তা কামরুল হাসান প্রকাশিত: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৭:১৪

কভিড-১৯-পরবর্তী বৈশ্বিক রাজনৈতিক সংকট বিশেষ করে রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে সারা বিশ্বে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজমান। দ্বৈত সংকটে সবচেয়ে বেশি চাপের মুখে বৈশ্বিক খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থা। কারণ, ফসল উৎপাদন এখন রাসায়নিক সারনির্ভর। বিগত পাঁচ-ছয় দশকে বৈশ্বিক কৃষি উৎপাদন প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে জমিতে রাসায়নিক সার ব্যবহার অব্যাহতভাবে বেড়েছে। তথ্যানুসারে ১৯৬১ সালে পৃথিবীব্যাপী রাসায়নিক সার ব্যবহার হতো ৫২ দশমিক ২৭ মিলিয়ন টন। কিন্তু ২০১৯ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২১৫ দশমিক ৩২ মিলিয়ন টনে। বাংলাদেশেও গত ছয় দশকে অগ্রসর হয়েছে রাসায়নিক সারনির্ভর ফসল উৎপাদন ব্যবস্থার দিকে। বৈশ্বিক ধারা এ দেশেও সমানভাবে প্রতিফলিত। যেমন ১৯৬২-৬৩ সালে দেশে শূন্য দশমিক ২০ লাখ টন রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয়, যা ২০২১-২২ অর্থবছরে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৫৭ দশমিক ৫ লাখ টনে। এর মধ্যে রয়েছে ২৬ লাখ টন ইউরিয়া, ৭ দশমিক ৫ লাখ টন টিএসপি, ৭ দশমিক ৫ লাখ টন এমওপি এবং ১৬ দশমিক ৫ লাখ টন ডিএপি। ব্যবহূত এ রাসায়নিক সারের প্রায় ৮০ ভাগ আমদানি করা। সচেতনতা ও রাজনৈতিক কারণে কিছু উন্নত দেশে এবং ক্রয় সংগতির অভাবের কারণে অনেক অনুন্নত দেশে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কম। আবার উচ্চ ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোয় খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ সচল রাখতে রাসায়নিক সারের ব্যবহার মাত্রা বেড়েছে।


বাজার অর্থনীতির বিশ্বে রাসায়নিক সারের চাহিদা ক্রমাগত বৃদ্ধির সুযোগে কিছু কিছু দেশ এসব রাসায়নিক সার উৎপাদনের জন্য বড় বড় শিল্প স্থাপন করেছে এবং অভ্যন্তরীণ প্রয়োজন মিটিয়ে পৃথিবীর অন্যান্য দেশে রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে। রাশিয়া, চীন, কানাডা, ইউক্রেন, বেলারুশ, মরক্কো, ভারত, সৌদি আরব, ওমান, বেলজিয়াম, ইরান, মিসর প্রভৃতি দেশ মোট রাসায়নিক সারের সিংহভাগ উৎপাদন করে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার মতে, ২০২১ সালে রাশিয়া ছিল বিশ্বে নাইট্রোজেন সারের শীর্ষ রফতানিকারক এবং পটাশ ও ফসফরাস উভয় সারের দ্বিতীয় বৃহত্তম সরবরাহকারী। আবার রাশিয়া ও প্রতিবেশী মিত্র রাষ্ট্র বেলারুশ যৌথভাবে বিশ্বের মোট পটাশ সারের ৩৭-৪০ ভাগ রফতানি করে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আমেরিকা এবং তার মিত্ররা রাশিয়ার ওপর প্রত্যক্ষ ও মিত্রদের ওপর পরোক্ষ অর্থনৈতিক-বাণিজ্যিক অবরোধ আরোপ করে। ফলে সুযোগ থাকলেও রাশিয়া সার বিক্রয় করতে পারছে না। এ অবস্থায় রাসায়নিক সারের দাম বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। আবার যেহেতু ডলার একমাত্র বিনিময় মাধ্যম, সেজন্য রাশিয়া ও তার মিত্রদের ওপর বাণিজ্যিক প্রতিবন্ধকতায় ডলার সরবরাহও স্বাভাবিক নয়। বৈশ্বিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনার অসংগতির কারণে সারসহ অন্যান্য পণ্যের মূল্যেও অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও