সালমান শাহ, যিনি ছিলেন নিজেই নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী
তাঁর অভিনয় দক্ষতা যেমন অসাধারণ ছিল, তেমনি তাঁর স্টাইল ও ফ্যাশন সচেতনতা যুগের চেয়েও অনেক এগিয়ে ছিল। এ প্রজন্মের তারকাদের কাছেও প্রিয় একটি নাম। সবাই তাঁকে আজও খুঁজে বেড়ান। মাত্র ২৫ বছরের জীবন তাঁর। চার বছর কাজ করেছেন চলচ্চিত্রে। এই স্বল্প সময়ে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে রেখে গেছেন অসাধারণ সব চলচ্চিত্র। বলা যায়, তাঁর সময়ে দেশের চলচ্চিত্রে নতুন একটি ধারার সূচনা হয়েছিল। চলচ্চিত্রে তাঁর উপস্থিতি মানেই ছিল নিশ্চিত সাফল্য, প্রেক্ষাগৃহে দর্শকের উপচে পড়া ভিড়। ব্যবসায়িক সাফল্য আর জনপ্রিয়তা—দুটিই সমানতালে এগিয়ে নিয়ে গেছেন তিনি। অভিনয়ের স্বতন্ত্র ধারা আর ফ্যাশন সচেতনতা তাঁকে নিয়ে যায় ভিন্ন এক উচ্চতায়। হয়ে উঠেছিলেন নিজেই নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী। তিনি বাংলা চলচ্চিত্রের ক্ষণজন্মা নায়ক সালমান শাহ। পুরো নাম শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। দেখতে দেখতে তাঁর মৃত্যুর দুই যুগ পেরিয়েছে। আজ তাঁর ২৬তম মৃত্যুবার্ষিকী।
১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেটের দারিয়াপাড়ায় নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন সালমান শাহ। তাঁর বাবা কমর উদ্দিন চৌধুরী ও মা নীলা চৌধুরী। দুই ভাইয়ের মধ্যে সালমান বড়। ছোট ভাই শাহরান চৌধুরী ইভান। বৃশ্চিক রাশির জাতক সালমানের বিনোদনজগতে যাত্রা শুরু হয় বিজ্ঞাপনচিত্রের মডেল হিসেবে। তিনি ইস্পাহানি গোল্ডস্টার টি, জাগুয়ার কেডস, মিল্ক ভিটা, কোকাকোলা, ফানটা এবং জাগুয়ার কেডসের বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করেন। ১৯৮৫ সালের দিকে হানিফ সংকেতের ‘কথার কথা’ নামের ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন সালমান। তখন অবশ্য তিনি ইমন নামেই পরিচিত ছিলেন।
- ট্যাগ:
- বিনোদন
- মৃত্যুবার্ষিকী
- সালমান শাহ