সহিংসতার জন্য রাজনীতি নাকি রাজনীতির জন্য সহিংসতা?
রাজনীতির জন্য সহিংসতা, নাকি সহিংসতা পরাজিত করতে রাজনীতি? এই প্রশ্নের সমাধান করতে পারেনি আমাদের রাজনীতি। স্বাধীনতার ৫১ বছর পার হতে চলল, কিন্তু এখনো একটা ধারণা শক্ত করে রাজনীতির মনোজগতে বসে আছে যে, সরকারক হটাতে হয় রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করে এবং সেটাও অত্যন্ত সহিংস উপায়ে।
আবার যে দল ক্ষমতাসীন থাকে তারও প্রচেষ্টা বিরোধীকে শক্তি দিয়েই শায়েস্তা করতে হবে। আমাদের নির্বাচনী প্রথাটাই এমন যে, এখানে যে জিতে সব তার, যে হারে তার কিছু নেই। মানসিকতার বদলই একমাত্র পথ এই দুরবস্থা থেকে মুক্তির। কিন্তু মানসিকতা কীভাবে বদলানো যায়, সেটা বরাবরই এক অজানা পথ।
নিজেদের অবস্থান থেকে রাজপথের বড় বিরোধী দল বিএনপি মনে করছে, সরকারবিরোধী আন্দোলনের ক্ষেত্র প্রস্তুত আছে। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস।
লোডশেডিংসহ গ্যাস সংকটে ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন। ডিজেল ও সারের দাম বাড়ায় কৃষক দিশেহারা। সাধারণ মানুষের এই ক্ষোভ কাজে লাগাতে তারা তৎপর। তাদের এই ভাবনা হয়তো তাদের জায়গা থেকে ঠিকই আছে। কিন্তু তারা কি সত্যি সত্যি জনমত জরিপ করেছে যে, মানুষ কীভাবে প্রতিবাদ জানাতে চায়? সেটা রাজপথের সহিংস আন্দোলন, নাকি অন্য কোনো উপায়?
যে কয়টি ইস্যুর কথা বলা হয়েছে, সেগুলো সবই জনগণের জীবনের সাথে সংশ্লিষ্ট। কিন্তু সেই মানুষকে কি আনা গেল রাজপথে? এই কথা সত্য বিএনপির ইদানীংকার প্রতিটি মিছিলে, সমাবেশে জনসমাগম বাড়ছে এবং এই কারণে দলের নেতৃত্ব কিছুটা হলেও আশান্বিত।