শনিবারের বিকেল : খুলে যাক রুদ্ধ দ্বার

ঢাকা পোষ্ট শিহাব শাহীন প্রকাশিত: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:৫১

শনিবারের বিকেল আমি দেখিনি। জেনেছি যে, এই চলচ্চিত্র আমাকে দেখতে দেওয়া হবে না কারণ আমি বাংলাদেশ থাকি। বাংলাদেশে থাকি এই কারণেই ভাবা হয়েছে যে, এই চলচ্চিত্র দেখার পর আমার মাথা ঘুরে যাবে বা আমার মাথা নষ্ট হয়ে যাবে। হয়তো সিনেমা হল থেকে বেরিয়ে আমি কিছু একটা করে বসব বা কিছু একটা হয়ে যাবে বা কী হবে এইটাও আমি জানি না। আমার মাথায় ভেতর এইটা এমনভাবে জট পাকাবে যে, আমি হয়তো এনারকিস্ট বা নৈরাজ্যবাদী হয়ে যাব তাই আমাকে শনিবারের বিকেল দেখতে দেওয়া হচ্ছে না। অথচ এই চলচ্চিত্র বিশ্বের অনেকেই দেখেছেন এবং প্রশংসাও করেছেন।


একজন নির্মাতার মনে যখন একটি চলচ্চিত্রের ভাবনা আসে তখন এটি স্বপ্নের মতো থাকে। ধীরে ধীরে নির্মাতা সেই স্বপ্নকে বড় করে। চলচ্চিত্র মানেই স্ক্রিপ্ট, প্রি-প্রোডাকশন, শুটিং, এডিটিং, ডাবিং, কালার গ্রেডিং সবকিছুর বিশাল কর্মযজ্ঞ।


অসম্ভব, অমানুষিক পরিশ্রমের পরে একটা চলচ্চিত্র দাঁড়ায়। তারপরে এটি প্রদর্শনের জন্য বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের কাছে জমা দিতে হয়। উন্নত বিশ্বে চলচ্চিত্রের জন্য সেন্সর বোর্ড, তা এখন অতীত। অনেক মানুষের মিলিত শ্রমে আমি একটা চলচ্চিত্র নির্মাণ করলাম, সেই চলচ্চিত্র প্রদর্শনের জন্য আমাকে সেন্সর বোর্ডের অনুমতি নিতে হবে! কারো অনুগ্রহ বা বিচারের পর নির্ধারিত হবে সেই চলচ্চিত্র আদৌ দর্শকেরা দেখতে পারবেন কি নাকি পারবেন না।


বিশ্বের কোথাও এইভাবে নির্মাতাদের সেন্সর বোর্ডের পেছনে ঘুরতে হয় না। একজন নির্মাতা মুক্তভাবনা, মুক্তবুদ্ধির চর্চা করবেন। অনেকে মানুষের মিলিত প্রয়াসে একটা চলচ্চিত্রের সৃষ্টি, দর্শক সেই চলচ্চিত্র দেখবে কি, দেখবে না সেই বিবেচনা তার নিজস্ব।


চলচ্চিত্র মানুষের মানবিক মূল্যবোধ জাগিয়ে তোলে সেই জায়গায় আমাদের দেশে চলচ্চিত্র নির্মাণ এবং তার প্রদর্শনী নিয়ে শত জটিলতা। এতে করে আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি। এতে শিল্পের সৃজন হচ্ছে না, চলচ্চিত্র সঠিক পথে আগাচ্ছে না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও