রানওয়ে উন্নয়ন কাজ বাতিল

যুগান্তর যশোর বিমানবন্দর প্রকাশিত: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:২০

ঠুনকো অজুহাতে বাতিল হয়ে গেল ৫৭০ কোটি টাকার ৩ অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্প। বিমানবন্দরগুলো হলো যশোর, সৈয়দপুর ও রাজশাহীর শাহ মুখদুম বিমানবন্দর। এতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় পড়বেন তিন বিমানবন্দর দিয়ে আসা-যাওয়া করা আকাশপথের যাত্রীরা। বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণেও বাড়বে ঝুঁকি। ভেস্তে যাবে সরকারের ফ্লাইট সম্প্রসারণ পরিকল্পনা। বিশেষ করে বিমানবন্দরগুলোয় ওয়াইড বডির বড় উড়োজাহাজ নামতে পারবে না। নতুন করে প্রকল্প হাতে নিলে সময় এবং ব্যয় দুটোই বাড়বে। কমপক্ষে ৫শ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় বাড়বে। সময়ও লাগবে আরও ৩ বছর বেশি। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, এই অবস্থায় দেশের আকাশপথের উন্নয়ন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে স্বপ্ন, তা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেছে।


গত ৭ আগস্ট অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ২১তম সভায় এই প্রকল্পটি বাতিল করা হয়। সভায় সেপ্টেম্বরের মধ্যে নতুন দরপত্র আহ্বানের সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে প্রকল্পটি নিয়ে দীর্ঘ কালক্ষেপণ এবং সরকারি টাকা অপচয়কারীদের চিহ্নিত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জানা যায়, ঠিকাদারের জনবল ও ইকুইপমেন্ট আছে কি না, এর প্রমাণ না থাকার অজুহাতে প্রকল্পটি বাতিলের সুপারিশ করে মন্ত্রণালয়। কিন্তু বেবিচকের মতে, এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তবে সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ-বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কেন্দ্রিক এক প্রভাবশালী ‘ভাগিনা সিন্ডিকেট’-এর কমিশন বাণিজ্য না হওয়ার কারণেই মূলত রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্পটি বাতিলের সুপারিশ করা হয়। এদিকে এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ বলেছেন, বর্তমানে এই তিন বিমানবন্দরের রানওয়েগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। সেখানে ড্যাস-৮ ও এটিআর মডেলের ছোট এয়ারক্রাফট ছাড়া অন্য উড়োজাহাজ অবতরণ করতে পারে না। প্রতিদিন চরম ঝুঁকি নিয়ে মাছের পোনা বহনকারী কয়েকটি বড় ফ্লাইট অবতরণ করছে। গত তিন দশকে ওই তিন বিমানবন্দরের রানওয়ের নুড়ি পাথর ওঠে যাওয়াসহ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বড় উড়োজাহাজ অবতরণের জন্য রানওয়ের দৈর্ঘ্য-প্রস্থও পর্যাপ্ত নেই।


যশোর বিমানবন্দরে প্রতিদিন ১০-১২টি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ ওঠানামা করে। কিন্তু এর রানওয়ের দৈর্ঘ্য মাত্র ৮ হাজার ৬০০ ফুট। সৈয়দপুর বিমানবন্দরে দৈনিক গড়ে ১৫টি উড়োজাহাজ ওঠানামা করে। এখানে রানওয়ের দৈর্ঘ্য ৬ হাজার ৮০০ ফুট। আর রাজশাহীর শাহ মখদুম বিমানবন্দরে দিনে ৮টি ফ্লাইট চলে। রানওয়ের দৈর্ঘ্য মাত্র ৬ হাজার ৬০০ ফুট। ভুটান ও নেপাল সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে ‘ট্রানজিট হাব’ হিসাবে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই বিমানবন্দরের মাধ্যমে পণ্য আনা-নেওয়ায় আগ্রহী ওই দুটি দেশের ব্যবসায়ীরা। উপ-আঞ্চলিক বাণিজ্য স¤প্রসারণে দিনদিন এই বিমানবন্দরের গুরুত্ব বাড়ছে। কিন্তু প্রকল্পটি বাতিল হওয়ায় সব পরিকল্পনা ভেস্তে যাবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও