কাঁচা না ভেজানো-কীভাবে কাঠবাদাম খেলে হৃৎপিণ্ড ভালো থাকে?
স্বাদের পাশাপাশি কাঠবাদাম পুষ্টিতেও অনন্য। অনেকেই বেশি পুষ্টি পেতে ভেজানো কাঠবাদাম খান। তবে ভেজানো ছাড়াও কাঁচা কাঠবাদাম শরীরের জন্য দারুন উপকারী। পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কাঠবাদাম রাখলে নানা রোগবালাই থেকে দূরে থাকা যায়।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর কাঠবাদাম শরীর থেকে বিষাক্ত পাদার্থ বের করে দেয়। এই বাদাম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সক্ষম।
ভেজানো ছাড়াও কাঁচা কাঠবাদাম খেলে যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়-
হজমশক্তি বাড়ায় : ফাইবারে ভরপুর কাঁচা কাঠবাদাম খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূরে থাকে। এতে হজমশক্তিও বাড়ে। এই বাদাম খেলৈ পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে। ফলে ওজন বাড়ে না। হজমশক্তি ও বিপাকহার বাড়াতে এই বাদামের জুড়ি নেই।
হৃৎপিণ্ডের সুরক্ষায় : কাঠবাদামে থাকা ভিটামিন ই ও ফাইবার হৃৎপিণ্ডের জন্য উপকারী। ভিটামিন ই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃৎপিণ্ডের নানা অসুখের ঝুঁকি কমায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় : কাঠবাদামে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে প্রদাহ কমায়। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
চুলের স্বাস্থ্য : কাঁচা কাঠবাদামে ভিটামিন ই, এ, বি ১, বি ৬ থাকে যা চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। কাঠবাদামে থাকা ম্যাগনেশিয়াম চুলের গোড়া সুস্থ রাখে। এই বাদাম খেলে চুল দ্রুত বাড়েও।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় : কাঠবাদামে থাকা ভিটামিন ই ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য , রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে। ত্বকের জন্য অন্যন্ত উপকারী ভিটামিন ই। এই ভিটামিন ত্বকের বয়স বাড়া প্রতিরোধ করে।
অসবাদ কমায় : কাঁচা কাঠবাদামে ট্রিপ্টোফ্যান নামে এক ধরনের উপাদান থাকে যা সেরোটোনিন হরমোন উৎপাদনে ভূমিকা রাখে। এই হরমোন মন ভালো রাখে। নিয়মিত কাঠবাদাম খেলে অবসাদ বা উদ্বেগ কমে।