কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


গুজব ছড়িয়ে কর্মচারীদের ২৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ

রাষ্ট্র ও সরকারের বিরুদ্ধে গুজব ছড়িয়ে গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের ২৬ কোটি ২২ লাখ টাকা অন্য হিসাবে স্থানান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ইউনিয়নের কয়েক নেতার যোগসাজশে দুই ধাপে টাকা স্থানান্তর করা হয়। ইউনিয়নের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সহসভাপতিকে গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছে তদন্ত সংস্থা।

গতকাল রোববার গ্রেপ্তার এক নেতার বরাত দিয়ে পুলিশের সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কর্মচারীরা টাকা পেতে মামলা করলেও গ্রামীণ টেলিকম অফিস ক্যাম্পাসে কর্তৃপক্ষ বার্তা ছড়িয়ে দেয়- দেশের পরিস্থিতি শ্রীলঙ্কার মতো হবে এবং ক্ষমতার পটপরিবর্তনে প্রধানমন্ত্রী হবেন গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তখন শ্রমিকদের মামলা কোনো কাজে আসবে না, ক্ষতিপূরণও পাবে না; বিপরীতে চাকরিচ্যুতি, জেল-জরিমানাসহ বিভিন্ন নির্যাতনের মুখে পড়তে হবে।

তদন্ত সংশ্নিষ্টরা বলছেন, ২৬ কোটি ২২ লাখ টাকা ইউনিয়নের অন্য একটি হিসাবে স্থানান্তরের দায় প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকও (এমডি) এড়াতে পারেন না।

রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত বুধবার কুমিল্লায় অভিযান চালিয়ে গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সহসভাপতি মাইনুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে আছেন। আগে সংগঠনের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আদালতে জবানবন্দি দেন তাঁরা।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন, গ্রামীণ টেলিকম এবং গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের মধ্যে গত ২৭ এপ্রিল একটি চুক্তিপত্র সই হয়। সে অনুযায়ী, ১০ মে ঢাকা ব্যাংক গুলশান শাখায় একটি সেটেলমেন্ট হিসাব খোলা হয়। ২০১০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর কোম্পানির মোট লভ্যাংশের ৫ শতাংশ হারে কোম্পানি থেকে এই হিসাবে প্রায় ৪৩৭ কোটি টাকা জমা করা হয়। লভ্যাংশ হিসেবে পাওনা ওই টাকা আদায়ে গ্রামীণ টেলিকমের অন্তত ২০০ শ্রমিক-কর্মচারী আদালতে ১৯০টি মামলা করেন। তবে কর্মীদের দাবি মেনে পাওনা পরিশোধের আশ্বাস দিলে মামলাগুলো প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। পাওনা না পেয়ে গত ৪ জুলাই বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে মিরপুর থানায় মামলা করেন ইউনিয়নের অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান। এরপরই ইউনিয়নের শীর্ষ তিন নেতাকে গ্রেপ্তার করলে চাঞ্চল্যকর তথ্য আসছে।

তিনি বলেন, বিধিবহির্ভূতভাবে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ইউনিয়নের কতিপয় নেতার যোগসাজশে ৪৩৭ কোটি থেকে চেকের মাধ্যমে ২০২০ সালের ১৭ মে এবং একই বছরের ২৫ মে ২৬ কোটি ২২ লাখ টাকা গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক ইউনিয়নের ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের হিসাবে স্থানান্তর করে। মাইনুল প্রাপ্য ৪ কোটি টাকা ছাড়াও তাঁর ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের হিসাবে ২ কোটি ও ব্র্যাক ব্যাংকের হিসাবের ১ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। বাকি দুই আসামি ৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন