কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বিএনপির ওপর মারমুখী আ.লীগ

প্রথম আলো প্রকাশিত: ২৯ আগস্ট ২০২২, ১০:৪০

বিএনপিকে মাঠে দাঁড়াতে দিচ্ছে না ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। গতকালও দুটি জেলায় বিএনপির কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছেন সরকারি দলের নেতা-কর্মীরা। এর মধ্যে নরসিংদীর মনোহরদীতে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের হামলার পাশাপাশি পুলিশও গুলি ছুড়েছে। এতে ২৭ নেতা-কর্মী রাবার বুলেটবিদ্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছে বিএনপি।


এদিকে গতকাল রোববার যশোরে আবারও বিএনপির প্রয়াত নেতা তরিকুল ইসলামের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা। তরিকুলের ছেলে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলামের গাড়িতেও হামলা হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে যশোর জেলা বিএনপির কার্যালয়।


বিএনপির পর আওয়ামী লীগও পাল্টা কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়ায় গতকাল তিনটি উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি ছিল। ফলে সেখানে কর্মসূচি বাতিল করেছে বিএনপি। ভোলা, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়ন বিএনপির কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।


জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে গত ২২ আগস্ট থেকে ঢাকার বাইরে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করে বিএনপি। এরপর থেকে গতকাল পর্যন্ত টানা সাত দিনই বিএনপির কর্মসূচি ঘিরে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মারমুখী অবস্থানে দেখা গেছে।


এই কয়েক দিনে বিভিন্ন স্থানে বিএনপির ১৯টি কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আটটি স্থানে বিএনপি নেতাদের বাড়িঘরে হামলা হয়েছে। দলীয় কার্যালয়ে হামলা হয়েছে চারটি স্থানে। দুই দলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণার কারণে আটটি উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। ছয়টি স্থানে বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দেয় পুলিশ।


নরসিংদীতে পুলিশের গুলি, আ.লীগের হামলা


নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়েছে। বিএনপির নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করেন, বেলা ১১টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে হেতেমদী মোড়ের সমাবেশস্থলে যাচ্ছিলেন কর্মী-সমর্থকেরা। হেতেমদী মোড়সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা চালান। একপর্যায়ে পুলিশ রাবার বুলেট ছোড়ে।


কর্মসূচিতে উপস্থিত বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য সরদার সাখাওয়াত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের ২৭ নেতা-কর্মী গুলিবিদ্ধ ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ১১ জন আহত হয়েছেন।’


তবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াশীষ রায় প্রথম আলোকে বলেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয়। আর উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ইমন আলমের ভাষ্য, বিএনপি যেন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করতে না পারে, সে জন্য আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের অবস্থান ছিল।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও