পুকুরে ভাসছিল কিশোরীর মরদেহ, প্রাইভেট টিউটর আটক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় আশিকা জাহান সিপা (১৭) নামের এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আশিকা জাহানের প্রাইভেট টিউটর বাইজিদ সরকারকে (২৬) আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
আজ রোববার বেলা দেড়টার দিকে পৌর এলাকার মুন্সেফপাড়া বোর্ডিং মাঠ পুকুর থেকে আশিকা জাহানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে জেলা শহরের গভ. মডেল গার্লস হাই স্কুল থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। সে সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের বিরামপুর গ্রামের শাহিন মিয়ার মেয়ে। পরিবারসহ জেলা শহরের মুন্সেফপাড়ায় ভাড়া বাসায় থাকত তারা।
এদিকে আটক বাইজিদ সরকার জেলার কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের খিদিরপুরের মুখলেছুর রহমানের ছেলে। তিনি জেলা শহরের মুন্সেফপাড়ায় ভাড়া বাসায় থাকেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে মাস্টার্স শেষ বর্ষে অধ্যয়নরত এবং শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ান।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাইজিদ সরকার মুন্সেফপাড়ায় বিভিন্ন বাড়িতে টিউশনি করান। আশিকা জাহানকেও বাসায় গিয়ে গত তিন বছর ধরে পড়ান বাইজিদ। এরই মধ্যে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্প্রতি আশিকা জাহান বিয়ের জন্য বাইজিদকে চাপ দেয়। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে আশিকা জাহান কাউকে কিছু না বলে লুকিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। পরে রোববার দুপুর দেড়টার দিকে বোর্ডিং মাঠ পুকুরে তার মরদেহ ভেসে ওঠে। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে যান। এ সময় বাইজিদ সেখানে গেলে তাঁকে পিটুনি দেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
আটক বাইজিদ সরকার বলেন, ‘সিপার সঙ্গে আমার প্রায় তিন বছরের প্রেমের সম্পর্ক। কয়েক দিন আগে তার পরিবারের সদস্যরা আমাদের দুজনকে রাস্তায় একসঙ্গে দেখে ফেলেন। এরপর থেকে সে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল। শনিবার রাত আড়াইটার দিকে সিপা আমাকে কল করে বিয়ের কথা বলে। আমি তখন তাকে বলেছি এই মুহূর্তে আমার বিয়ে করা সম্ভব না। তখন সে বলে আমি বাসা থেকে বের হয়ে যাচ্ছি। এরপর আর তার সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি।’