'সহিংসতা' হলে আরও কঠোর হবে আ'লীগ

সমকাল প্রকাশিত: ২৮ আগস্ট ২০২২, ১১:৪৪

রাজপথে বিএনপির মিছিল-সমাবেশে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা দলটির ঘরোয়া বিবাদের বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। তারা বলছে, সহিংসতার চেষ্টা হলে তাৎক্ষণিকভাবে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। অন্যদিকে বিএনপি বলছে, এবার আর রাজপথ ছাড়বে না দলটি। হামলা, মামলা ও গ্রেপ্তারের ঘটনা যতই ঘটুক- মাঠেই মোকাবিলা করা হবে


বিএনপির মিছিল-সমাবেশে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনাগুলো বিএনপিরই 'অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব' ও 'বিচ্ছিন্ন ঘটনা' বলে অভিহিত করছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। গত শুক্রবার ও তার আগে একাধিক দিন বিএনপি জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিসহ সরকারের পদক্ষেপগুলোর বিরুদ্ধে কর্মসূচি দিয়ে সভা-মিছিল বের করলেই বিভিন্ন জেলায় ধারাবাহিক আক্রমণ হয়েছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘরেও আক্রমণ হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণে সংবাদমাধ্যমে হামলাকারীদের আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কর্মী-সমর্থক বলে শনাক্ত করা হয়। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতারা ওই কথা বলেন।


নেতারা জানান, বিএনপির আন্দোলন মোকাবিলায় রাজপথে সতর্ক অবস্থানে থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংযত ও সহনশীল থাকার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। তবে আন্দোলন-সংগ্রামের নামে সহিংসতার চেষ্টা হলে তাৎক্ষণিকভাবে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলার নির্দেশনা রয়েছে। দলের কেন্দ্রীয় নেতারা রাজপথ দখলে রাখার ব্যাপারেও দলের কর্মীদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছেন।


আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ বিভিন্ন স্থানে বিএনপির মিছিল-সমাবেশে হামলা ও ভাঙচুরকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখেন। তাঁর ভাষায়, গণভবন ঘেরাও করতে গেলে চা খাওয়ানোর কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে বিএনপি যদি অন্যকিছু করতে চায় তাহলে তো হবে না। তারা তো যথেষ্ট সুযোগ পাচ্ছে। তাদের মিছিলে বাধা দেওয়া হচ্ছে না। দুই-এক জায়গায় বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে। সেটা আমলেও নেওয়া হয়েছে। দলীয়ভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর সমাধানও হবে। আওয়ামী লীগও সহনশীল থাকবে। তবে জ্বালাও-পোড়াও করলে কি সরকার বসে থাকবে?


শোকের মাস আগস্টে আওয়ামী লীগের তেমন বড় কোনো কর্মসূচি থাকে না। তবে এবার ব্যতিক্রম হয়েছে বলে দলের নীতিনির্ধারক নেতারা মনে করছেন। আগস্টের শুরু থেকেই বিএনপি আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সক্রিয় হয়ে ওঠেন। ফলে কয়েক বছরের চেয়ে এবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় নেতাকর্মীরা সক্রিয় থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন। দলের শীর্ষ নেতারাও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অপচেষ্টা করলে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত কয়েক দিনে বিএনপির কর্মসূচিতে হামলার ঘটনা ঘটছে।


অবশ্য এর পেছনে কারা জড়িত সেটা দলীয়ভাবে খুঁজে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংযত থাকার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। তবে হামলার মতো অপ্রত্যাশিত ঘটনা কারা ঘটিয়েছে, সেটাও খতিয়ে দেখতে হবে। আওয়ামী লীগ কখনোই এসব চায় না। গণতান্ত্রিক সমাজে প্রতিবাদ হবে, এটাই তো স্বাভাবিক। তবে অধিকার আদায়ের নামে অহেতুক জনদুর্ভোগ সৃষ্টি, রাস্তাঘাট বন্ধ, অগ্নিসংযোগ এবং সন্ত্রাস করলে তাতে তো মানুষ বাধা দেবেই। সেই ক্ষেত্রে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা দেবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও