৮ বছর পর পুলিশ জানাল হত্যায় জড়িত ৬ জঙ্গি

প্রথম আলো প্রকাশিত: ২৭ আগস্ট ২০২২, ১৮:০৪

আট বছর আগে রাজধানীর রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় ঢুকে কয়েক যুবক পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে বেসরকারি টেলিভিশনের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের উপস্থাপক নুরুল ইসলাম ফারুকীকে হত্যা করেছিলেন। ওই ঘটনায় হওয়া মামলা পুলিশের তিনটি ইউনিট তদন্ত করে। ২০১৪ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত তদন্তের সঙ্গে যুক্ত থানা-পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) কর্মকর্তারা বলে আসছিলেন, জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্যরা নুরুল ইসলাম ফারুকীকে হত্যা করেছেন। দুর্ধর্ষ জঙ্গি হাদিসুর রহমান ওরফে সাগর ফারুকী হত্যায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে হত্যায় অংশ নেওয়া ৯ জঙ্গির নামও বলেছিলেন।


তবে আট বছরের মাথায় এসে এখন সিআইডি বলছে, ফারুকী হত্যায় মামলার কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছে তারা। তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, ফারুকীর মতাদর্শে ক্ষুব্ধ ছিল জেএমবির একটি গ্রুপ। ডাকাতিতে অভ্যস্ত জঙ্গিদের ফারুকীর বাসায় ডাকাতিতে প্রলুব্ধ করে জেএমবি এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। এতে ছয় জঙ্গি অংশ নেয়। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলেছ। তবে ফারুকী খুনের ঘটনায় ২০২০ সাল পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা ১৬ জঙ্গির এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।


২০১৪ সালের ২৭ আগস্ট রাতে রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় ঢুকে কয়েক যুবক পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে নুরুল ইসলাম ফারুকীকে গলা কেটে হত্যা করেন। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন নিহত ফারুকীর ছেলে ফয়সাল ফারুকী। ফারুকী হাইকোর্ট মাজার জামে মসজিদের খতিব ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ ইসলামি ফ্রন্টের (মতিন) সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আন্তর্জাতিক সম্পাদক ছিলেন।


সিআইডি সূত্র জানায়, ফারুকী হত্যা মামলাটি প্রথমে শেরেবাংলা নগর থানা-পুলিশ তদন্ত করলেও ওই বছরেই ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগে স্থানান্তর করা হয়। ২০১৫ সালে মামলার তদন্তভার সিআইডিকে দেওয়া হয়। সেখান থেকে মামলাটি আবার তদন্তের দায়িত্ব পায় ডিবি। ২০১৬ সালে মামলার তদন্তভার সিআইডিতে স্থানান্তর করা হয়। কয়েক মাস পর মামলার তদন্তভার সেখান থেকে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমে দেওয়া হয়। ২০১৮ সালে সেখান থেকে মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির ঢাকা মেট্রোর পশ্চিম বিভাগ। ২০২১ সালে সেখান থেকে মামলার তদন্তভার সিআইডির ঢাকা মেট্রোর দক্ষিণ বিভাগ পায়। এ নিয়ে আটবার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয় ফারুকী হত্যা মামলায়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও