চা শ্রমিক : জন্মই যার আজন্ম পাপ!

ঢাকা পোষ্ট কুশল বরণ চক্রবর্ত্তী প্রকাশিত: ২৬ আগস্ট ২০২২, ১৫:১২

গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি আন্দোলনের কথা প্রকাশ্যে আসছে কয়েকদিন ধরে। সেই আন্দোলন হলো, দেশের চা শ্রমিকদের আন্দোলন। দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে আন্দোলন করছেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের চা শ্রমিকেরা।


বিক্ষোভ মিছিলের পাশাপাশি তারা চা বাগানে শান্তিপূর্ণ ধর্মঘটও পালন করছেন। সাথে আছে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ প্রতিবাদ। কিন্তু আমরা অধিকাংশ তথাকথিত শিক্ষিত মানুষেরা তাদের এই যৌক্তিক ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন সম্পর্কে জানি না বললেই চলে।


এক কথায় বলতে গেলে কিছুই জানি না। এই চা বাগানের শ্রমিকেরা স্বাধীন দেশে অনেকটা অবহেলায় বেড়ে ওঠা পরাধীন দাসের মতো। ব্যক্তি স্বার্থে সুকৌশলে তাদের এমন বানিয়ে রাখা হয়েছে। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং মর্মান্তিক।


চা শ্রমিকেরা মালিক পক্ষের কাছে দৈনিক ১২০ টাকার বদলে ৩০০ টাকা মজুরি দাবির স্বপক্ষে আন্দোলন শুরু করেছেন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই বাজারে ৩০০ টাকাও কিঞ্চিৎ মাত্র। এই টাকায়ও একটি পরিবারের ভরণপোষণ কষ্টসাধ্য শুধু নয়, অসাধ্যও বটে। তাই চা শ্রমিকের মজুরি ন্যূনতম দৈনিক ৫০০ টাকা হওয়া বাঞ্ছনীয়।


দেশের যেকোনো প্রান্তের একজন সাধারণ শ্রমিক আটশত থেকে হাজার, বারোশো টাকা দৈনিক ভিত্তিতে পায়। সেই তুলনায় একই ভূমিতে বসবাস করে একজন চা বাগানের শ্রমিক পায় মাত্র ১২০ টাকা! ভাবা যায় বিষয়টি কতটা বৈষম্যের! 


দেশের সকল প্রান্তের শ্রমিকদের সাথে চা বাগানের শ্রমিকদের বৈষম্য পর্বতপ্রমাণ। যুগের পরে যুগ বৈষম্যের অভিঘাতে ক্লিষ্ট হয়েই তাদের এই যৌক্তিক বৈষম্য বিলোপের আন্দোলন। চা পাতা তোলার ভর মৌসুমে দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে পথে নেমেছে তারা।


তাদের সাময়িক কর্মবিরতি অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে চা বাগানে হয়তো অচলাবস্থা দেখা দিচ্ছে। কিন্তু এর জন্য দায়ী শ্রমিকেরা নয়, দায়ী বাগান মালিকপক্ষ। সিলেট ভ্যালির ২৩টি, হবিগঞ্জের ২৪টি ও মৌলভীবাজারের ৯২টি বাগানসহ মোট ২৪১টি চা বাগানে একযোগে এই ধর্মঘট শুরু হয়েছে। এই সময় শ্রমিকেরা কাজ বন্ধ রেখে বাগানের বিভিন্ন সেকশনে মিছিল, সমাবেশ ও মানববন্ধন করে তাদের উপরে বৈষম্যের প্রতিবাদ করেন।


প্রাকৃতিক সুন্দরের অনন্য লীলাভূমি বৃহত্তর সিলেট। ২০১৬ সালে আগস্টের শেষ সপ্তাহে বৃহত্তর সিলেটের মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলে ঘুরতে যাই। শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন চা বাগান ঘুরে ফিরে দেখি। বাগানগুলোর ভেতরে প্রবেশ করে এবং স্থানীয় শ্রমিকদের সাথে কথা বলে আমি এক অত্যন্ত রূঢ় বাস্তবতার মুখোমুখি হই।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও