কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সমন্বয়হীনতা কিংবা না বোঝার গল্প

বিডি নিউজ ২৪ মাহবুব ময়ূখ রিশাদ প্রকাশিত: ২৫ আগস্ট ২০২২, ২০:০০

মেডিকেল কলেজের শিক্ষকদের সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীদের ক্লিনিক্যাল ক্লাস নিতে হয়। সেই উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলাম। জ্যামে বসে মোবাইল স্ক্রল করতে গিয়ে খবরটা প্রথম নজরে এসেছিল। যা হয় অনলাইনে প্রথম দেখেই আজকাল আর কোনওকিছু বিশ্বাস করি না। খবরটা দেখে আমার অনুভূতি ছিল এমন যে এটা সত্য হতেই পারে না। যা একটা কেউ বলে দিলেই হলো? এবং আমি ভুলেও গেলাম বিষয়টা। কী খবর, কোন বিষয় এই ব্যাপারে বিস্তারিত বলছি। তার আগে ছোট্ট করে অন্য একটু আলাপ করে নিই।


আমার ধারণা ক্লিনিক্যাল লাইনে কাজ করছেন এমন যতো চিকিৎসক আছেন তারা রাতের ফোনকে খুব ভয় পান। রাত ১২টার পর ফোন মানে ধরে নিতেই হয় কেউ কোনো বিপদে পড়েছেন। আর চিকিৎসকদের বেলায় সেই বিপদ হচ্ছে কোনও রোগী কিংবা আপনজন হঠাৎ করে এতোই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, ওই মুহূর্তে মেডিকেল ট্রিটমেন্ট লাগবেই। ধরা যাক, আপনার পরিচিত কোনো অ্যাজমার রোগী যাকে মাঝেমধ্যে নেবুলাইজেশন নিতে হয় কিন্তু তার বাসায় ওই মুহূর্তে ওষুধ নেই, তখন তিনি কী করবেন? হয় হাসপাতালে নিয়ে যাবেন, না হয় ড্রাগটা কিনে আনবেন। ড্রাগ কিনতে গিয়ে তিনি দেখলেন দোকান বন্ধ। অতঃপর হাসপাতালে নিয়ে ছুটলেন। এর ভেতরে পার হয়েছে আরও কিছু সময়। হয়তো দুটা বেজে গেছে। হাসপাতালেও ফার্মেসি বন্ধই পেলেন।


অথবা রাত দুইটার পর খবর পেলেন আপনার আত্মীয় এক্সিডেন্ট করেছেন। এই মুহূর্তে জরুরি ড্রাগ লাগবে? অথবা জানতে পারলেন পাশের বাসায় যার সাথে আপনি সকালে নামাজ পড়তে যান, তিনি আচমকা খুব বুকে ব্যথা অনুভব করছেন, তার শরীর ঘামছে। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই ডাক্তার আপনাকে একটা স্প্রে এর নাম বললেন, আর কয়েকটা ড্রাগ বললেন যেটা মুখে খাইয়ে দিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। আপনি ওই মুহূর্তে জীবনরক্ষাকারী কাজগুলো করতে পারবেন না, কারণ হাতের কাছে কোনো ফার্মেসি খোলা পাবেন না।


এমন হয়?


কিন্তু ঠিক এমন একটা ঘোষণাই সিটি করপোরেশন থেকে জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য দেওয়া হয়েছিল যে, ফার্মেসি বন্ধ করে দিতে হবে। যদিও পরবর্তীতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, এমন কোনো বার্তা তাদের মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া হয় নি।


স্বাস্থ্য খুব মোলায়েম একটা বিষয়। আর এই মোলায়েম জায়গায় আমাদের দুর্নীতির শেষ নেই। আরেকটা যেটা নেই সেটা হচ্ছে সমন্বয়। কোভিডের শুরুতে আমরা দেখেছি হতবিহ্বল এক অবস্থা। পরে সেই অবস্থা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে, ঠিক সমন্বয়ের কারণেই। এই জন্যই শব্দটার গুরুত্ব অনেক। আপনি যখন স্বাস্থ্যের সাথে সম্পর্কিত কোনো বিষয় নিয়ে ঘোষণা দেবেন, সেই ঘোষণাগুলো মন চাইলেই দিয়ে দেওয়া যায় না। আর এই ব্যাপারটা এমন ছিল, যেটা জানার জন্য আসলে কোনো বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হতে হয় না।


ভালো খবর এটাই যে, এই সিদ্ধান্ত সম্ভবত বাস্তবায়ন হবে না। তবে রাষ্ট্রের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমার কিংবা আমাদের প্রত্যাশা থাকবে ভবিষ্যতে এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে যথাযথ মন্ত্রণালয় কিংবা দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান কিংবা দায়িত্বশীল ব্যক্তির সঙ্গে আলোচনা করে একটা প্রসেসের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। না হয় অযথাই প্যানিক সৃষ্টি হয়, যা আদতে সামাজিক অস্থিরতা তৈরি করে আর যে কোনো অস্থিরতাই রাষ্ট্রের স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও