জালিয়াতির নিয়োগের পর এটিএম সেলিমের সম্পদের পাহাড়
নিয়োগটাই তার জালিয়াতির মাধ্যমে। অথচ চাকরিতে যোগদানের পর থেকে বেপরোয়া দুর্নীতি করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন বিপিসির (বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন) হিসাব বিভাগের মহাব্যবস্থাপক এটিএম সেলিম।
দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগের সূত্র ধরে এটিএম সেলিমের বেপরোয়া দুর্নীতির তথ্য সামনে আসতে শুরু করেছে। দুদকে দেওয়া অভিযোগে বলা হয়েছে, সংস্থার হিসাব ও স্বার্থ রক্ষার কথা থাকলেও বরাবরই ব্যক্তিগত হিসেবটাই এটিএম সেলিমের কাছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পেয়েছে।
তিনি বন্দরনগরী চট্টগ্রামের ফয়েস লেক আবাসিক এলাকায় হাজী আবদুল হামিদ রোডে ৬ তলা ভবনে (জোৎস্না-২/এ) স্ত্রী ও ছেলে মেয়ে নিয়ে থাকেন এটি এম সেলিম। ৭ কাঠা জমির উপর নির্মিত মনোরম ডিজাইনের ওই বাড়িটির নাম রাখা হয়েছে জ্যোৎস্না নামে। অন্যান্য দুর্নীতিবাজদের মতোই এটি এম সেলিমও বাড়িটি শ্বশুরের বলে প্রচার করে থাকেন। আর ভবনের নাম রেখেছেন শাশুড়ির নামে। প্রকৃত ঘটনা দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জন করা টাকায় নির্মাণ করা এ বাড়িটি হালাল করার জন্যই এই কৌশল নিয়েছেন এটি এম সেলিম। এই ভবনেই সপরিবারে থাকেন বিপিসির ওই কর্মকর্তা। বিপুল পরিমাণ কালোটাকা বিনিয়োগ করলেও লোকচক্ষুর আড়ালে থাকতে শ্বশুরের বলে প্রচার করেন। স্থানীয়রা জানিয়েছে জমির কাগজ কার নামে রয়েছে বলা কঠিন তবে নির্মাণ থেকে সবকিছু করেছেন এটিএম সেলিম।