রক্তে শর্করার মাত্রা কম রাখার প্রাকৃতিক পন্থা
চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়াকে বলা হয় ‘হাইপারগ্লাইসেমিয়া’। এই সমস্যার পরিণতিতে দেখা দেয় ডায়াবেটিস। আর তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে অজস্র রোগ শরীরে বাসা বাঁধবে।
ফ্লোরিডার ‘দ্য মেসোথেলিওমা সেন্টার’য়ের ‘রেজিস্টার্ড নার্স’ শন মার্শেজ। তার বিশেষত্ব হল ‘ওনকোলজি ক্লিনিকাল ট্রায়াল’। আর সরাসরি রোগীকে সেবা দিচ্ছেন প্রায় ১৫ বছর ধরে।
প্রাকৃতিকভাবে কীভাবে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায় সেই সম্পর্কে জানিয়েছেন তিনি।
যা জানতে হবে
ইটদিস নটদ্যাট ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে মার্শেজ বলেন, “ব্লাড সুগার’, ‘ব্লাড গ্লুকোজ’ দুটোই রক্তে শর্করার মাত্রাকে বোঝায়। শরীর শর্করাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করে কর্মশক্তি তৈরি করতে পারছে কি-না সেটা জানা যায় রক্তের শর্করার মাত্রা দেখে। খুব কম হলে খাদ্যাভ্যাস আরও শর্করা বাড়াতে হবে আর বেশি হলে শর্করার খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে।”
মোটকথা, শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। এভাবে যদি শর্করা নিয়ন্ত্রণ না হয় তাহলে বুঝতে হবে কোনো সমস্যা হয়েছে। যেমন ‘ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স’। এই সমস্যা হলে শরীর শর্করা ব্যবহার করে শক্তি উৎপাদন করতে পারেনা।
রক্তে উচ্চমাত্রায় শর্করা থাকার ঝুঁকি
মার্শেজ বলেন, “রক্তে অতিরিক্ত শর্করা শরীরের সংবেদনশীল টিস্যু যেমন- রক্তনালী, স্নায়ুকোষ ইত্যাদির ক্ষতি করে। হৃদরোগ, বৃক্ক নষ্ট হওয়া, দৃষ্টিশক্তি লোপ পাওয়া, ‘নিউরোপ্যাথি’, দাঁত ও মাড়ির সমস্যা, হাড় ও হাড়ের জোড়ের সমস্যা এসব কিছুর পেছনেই নীরবে কলকাঠি নাড়ে রক্তে থাকা অতিরিক্ত শর্করা।”
তাই রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখতে পারলে এসব দূরারোগ্য ব্যধি থেকে সুরক্ষিত থাকা যায়। আর ভারসাম্য নষ্ট হলে শরীর পৌঁছে যায় ‘ডায়াবেটিস কিটোঅ্যাসিডোসিস’ নামক এক পর্যায়ে।
এই পরিস্থিতিতে শরীর শক্তি উৎপাদনের জন্য চর্বি ভাঙতে শুরু করে এবং সেই প্রক্রিয়ার উপজাত হিসেবে শরীরে তৈরি হয় ‘কিটোনেস’ নামক বিষাক্ত উপাদান।
- ট্যাগ:
- স্বাস্থ্য
- করণীয়
- রক্তে শর্করার মাত্রা