‘ওকে দিয়ে হবে না, ও তো কথা কম বলে’
অফিসের এক কোনায় বসত ছেলেটা। অফিসে তার কাজ ছিল লেখালেখি। তার লেখার হাত ছিল দারুণ। কাজও করত একমনে। তবে কথা বলত খুব কম। ‘এই তুমি কথা বলো না কেন?’, ‘ওকে দিয়ে হবে না, ও তো কথা কম বলে’ এমন প্রশ্ন তাঁকে দিনে অন্তত দশবার শুনতে হতো। উত্তরে সে একটু হাসত। মাঝেমধ্যে পাল্টা প্রশ্ন করত, ‘কী নিয়ে কথা বলব, বলুন তো।’ একটা পর্যায়ে প্রশ্নটা আর প্রশ্ন রইল না। অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সহকর্মী, সবাই যেন জেরা করতে শুরু করল তাকে।
ছেলেটির বন্ধু কম। হাতেগোনা তিন–চারজন। খুব বেশি আড্ডাবাজও সে নয়। বন্ধুদের আড্ডায়ও নিয়মিত নয়। থাকলেও চুপচাপ। বন্ধুরা অনেকেই বলে, ‘ভাব নিচ্ছে’। আড়ালে তাকে নিয়ে চলে নানা গুজব। কেউ বলে অহংকারী, কেউ অসামাজিক।
পরিবার ও আত্মীয়মহলেও ‘অসামাজিক’ কথাটা প্রায়ই শুনতে হয়। পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ আত্মীয়টি বলে বসেন, ওর আর পরিবর্তন হলো না। কেউ কেউ এমনও বলেন, ওর চিকিৎসা দরকার। এসব শুনতে শুনতে ছেলেটি হতাশ হয়ে পড়ে।
- ট্যাগ:
- লাইফ
- হতাশ
- হতাশা প্রকাশ
- সামাজিকতা