কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ইসির চোখে নির্বাচনকালীন সরকার রাজনৈতিক বিষয়

সমকাল প্রকাশিত: ২৩ আগস্ট ২০২২, ০৮:৫৬

সংলাপ আয়োজন নিয়ে ঢাকঢোল পেটালেও পূর্বসূরিদের মতো একই অবস্থান নিয়েছে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সংলাপে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবি তুললেও ইসি বলেছে, এটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়।


তপশিল ঘোষণার পর কয়েকটি মন্ত্রণালয় ইসির আওতায় আনার প্রস্তাবও সংবিধানের আলোকে বিবেচিত হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছে তারা। এর আগে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ ও কে এম নূরুল হুদা কমিশনও একইভাবে সংলাপে নানা পক্ষের মত নেওয়ার পরে জানিয়েছিল, তাদের সংবিধানের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। যে কারণে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলসহ (বাসদ) একাধিক দল সংলাপ প্রত্যাখ্যান করে ইসিকে চিঠি দেয়। এসব দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, এর আগের কমিশনেও তারা সংলাপে মত দিয়ে কোনো ফল পায়নি।


গতকাল সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সই করা এক প্রতিবেদনে সংলাপ নিয়ে ইসির এই অবস্থান তুলে ধরা হয়। ইসির এই সারসংক্ষেপটি নিবন্ধিত ২৮টি রাজনৈতিক দল, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, আইন, স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তাদের ডাকযোগে পাঠানো হয়েছে। ইসির পরিচালক জনসংযোগ (যুগ্ম সচিব) এস এম আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, কোনো কোনো দল এরই মধ্যে পেয়েছে, যারা পায়নি তারা খুব শিগগির পেয়ে যাবে।


 ১৭ থেকে ৩১ জুলাই নিবন্ধিত ৩৯ দলকে এই সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হলেও বিএনপিসহ ৯টি দল তা প্রত্যাখ্যান করে। বিএনপি অবশ্য দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে প্রত্যাখ্যান করে ইসির আমন্ত্রণ। ২৮টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ইসির সংলাপের সারসংক্ষেপ প্রকাশ করা হলেও এর আগে বর্তমান কমিশন আয়োজিত নানা পেশাজীবী সংগঠনের সংলাপের প্রসঙ্গ এখানে উল্লেখ নেই।


ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান ইসির এই অবস্থানের বিষয়ে বলেন, নির্বাচন কমিশন সূক্ষ্ণভাবে নিজের দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে যৌক্তিক অনেক প্রস্তাব করা হয়েছে। নির্বাচনকালীন সরকার বা সংশ্নিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো ইসির আওতায় ন্যস্ত করার বিষয়গুলো অনেক ক্ষেত্রেই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার সঙ্গে সম্পর্কিত। ইসি যদি প্রস্তাবগুলো অযৌক্তিক মনে করে- সেটাও স্পষ্ট করা উচিত। আবার তারা যদি মনে করে, এগুলো যৌক্তিক তাহলে অবশ্যই সরকারকে এ বিষয়ে বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তাব পাঠাতে পারে। সংবিধানের দোহাই দিয়ে অতীতের দুই নির্বাচন কমিশনের মতো আরও একটি নির্বাচন কাম্য হতে পারে না।


ইসির এই অবস্থানের ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বিদ্যমান দলীয় সরকার কাঠামো সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায়। গত দুটি নির্বাচন তার জ্বলন্ত উদাহরণ। ইসির এই অবস্থান জাতিকে আরেকটি খারাপ নির্বাচনের পথে নিয়ে যাবে। তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন করা ইসির সাংবিধানিক দায়িত্ব। এর বাইরে অন্য যে কোনো পন্থা সাংবিধানিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায়গুলো ইসি নিজেও জানে। তাই এগুলো লুকিয়ে রেখে আরেকটি খারাপ নির্বাচন আয়োজন কোনোভাবেই যুক্তিযুক্ত হতে পারে না। অবাধ নির্বাচনের বাধাগুলো দূর করতে সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে বলাও ইসির দায়িত্ব।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও